সহকারী শিক্ষক
০১ মে, ২০২৪ ১০:২৮ অপরাহ্ণ
আল্লাহু গাফুরুন, শ্রেণিঃ ৭ম, বিষয়ঃ ইসলাম শিক্ষা।
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: সপ্তম
বিষয়: ইসলাম শিক্ষা
অধ্যায়: প্রথম অধ্যায়
আল্লাহু গাফুরুন
গাফুরুন
শব্দের অর্থ হলো ক্ষমাশীল, অত্যন্ত ক্ষমাকারী, পরম ক্ষমাশীল ইত্যাদি। তাই ‘আল্লাহু
গাফুরুন’ কথাটির অর্থ হলো, আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল। আল-গাফুর আল্লাহ তা‘আলার একটি গুণবাচক
নাম। এ নামের বরকতে তিনি পাপীর পাপ মোচন করে দেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “যিনি পাপ ক্ষমাকারী,
তওবা কবুলকারী এবং কঠোর শাস্তিদাতা ও শক্তিশালী”। (সূরা মু’মিন, আয়াত: ৩)
নিঃসন্দেহে
আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল। সব কিছুর মালিক হিসেবে তিনি আমাদের গুনাহসমূহ মাফ করারও মালিক।
তিনি ছাড়া আমাদের গুনাহ মাফ করার আর কেউ নেই। পাপীর ক্ষমা চাওয়ার কারণে আল্লাহ তা‘আলা
তাদের পাপসমূহ এমনভাবে ক্ষমা করে দেন যে, তা আমলনামা থেকে মুছে যায়। মহান আল্লাহ বলেন,
‘বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, আল্লাহর অনুগ্রহ হতে
নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো অত্যন্ত ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।’
(সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৫৩)
মহান আল্লাহ এমন মহাক্ষমাশীল যে, বান্দার পাপরাশি
যত বেশিই হোক না কেন বা তা যত বড়ই হোক না কেন, তাঁর ক্ষমার সামনে তা অতি সামান্যই।
মানুষ যদি ভুলবশত কোনো অন্যায় ও অশ্লীল কাজ করে ফেলে কিংবা পাপ করে নিজেদের প্রতি যুলুম
করে বসে, তবে যদি সাথে সাথে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে
ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন। এ মর্মে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
‘তোমাদের প্রতিপালক দয়া করাকে তার নিজের কর্তব্য বলে লিখে নিয়েছেন। তোমাদের মধ্যে
কেউ অজ্ঞতাবশত যদি কোন মন্দ কাজ করে, অতঃপর তওবা করে এবং সৎ হয়ে যায়, তবে তিনি অত্যন্ত
ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৫৪)
আমরা আল্লাহর আল-গাফুর নামের ওয়াছিলা দিয়ে তাঁর কাছে ক্ষমা
চাইব। ক্ষমা প্রার্থনাকারী ও তাওবাকারীদের
আল্লাহ ভালোবাসেন। আমাদের প্রিয়নবি (সা.)- যাঁর কোনো গুনাহ ছিল না, তদুপরি তিনি আল্লাহর
কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাইতেন।