সিনিয়র শিক্ষক
০৬ জুন, ২০২৪ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
জোড়ায় কাজ বা পেয়ার ওয়ার্ক পদ্ধতি (Pair Work)
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: ষষ্ঠ
বিষয়: English
অধ্যায়: পঞ্চম অধ্যায়
জোড়ায় কাজ বা পেয়ার ওয়ার্ক পদ্ধতি (Pair Work)
শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রমে সমস্ত শিক্ষার্থীকে একেকটি জোড়ায় অর্থাৎ দুই জন করে ভাগ করে পাঠচর্চার ব্যবস্থা করার নাম হলো জোড়ায় কাজ পদ্ধতি। ইংরেজিতে একে পেয়ার ওয়ার্ক (Pair Work) বলে।
জোড়ায় কাজ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য
- শ্রেণিকক্ষে বা শ্রেণিকক্ষের বাইরে সীমিত পর্যায়ে কার্যকর এই পদ্ধতিও প্রাচীন ও প্রথাগত ভাবে ব্যবহৃত।
- জোড়ায় কাজ পদ্ধতির প্রধান হলো দুই জন সম-পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে (বালক ও বালক, বালিকা ও বালিকা অথবা যেখানে সহশিক্ষা প্রচলিত সেখানে প্রয়োজনে বিপরীত লিঙ্গের দুই জনকে) একত্রে অনুশীলন, পঠন ও শিখনের সুযোগ সৃষ্টি করা।
- ক্ষেত্রবিশেষে জোড়ায় কাজ পদ্ধতি যথেষ্ট ফলদায়ক।
- জোড়ায় কাজে শিক্ষার্থীদ্বয় পরস্পরকে সাহায্য করে এবং এক অপরের সম্পূরকের ভূমিকা পালন করে।
- জোড়ায় কাজে বৃহত্তর দলীয় কাজের ভিত রচিত হয় ও তা মজবুতও হয়।
জোড়ায় কাজ পদ্ধতির সুবিধা
- জোড়ায় কাজের বড়ো সুবিধা হলো নিবিড়, অন্তরঙ্গ ও পারস্পরিক বন্ধুত্বসুলভ মনোভাবের মাধ্যমে আনন্দের সঙ্গে শিখন।
- একজন যা জানে না এবং যা শিক্ষক বা অন্যসূত্রে জানা যায় না তা জোড়ার সঙ্গীর কাছ থেকে সহজেই জানতে পারা যায়, আর এভাবেই শিখন-ঘাটতি অনেকাংশেই দূর করা যায়।
- চিন্তা চেতনায় আদান প্রদান করা যায়।
- বিষয়ের উপর অধিক তথ্য প্রদান সম্ভব হয়।
- পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।
- অপেক্ষাকৃত কম সময় সাপেক্ষ সমাধান খুজে বের করা যায়।
জোড়ায় কাজ পদ্ধতির অসুবিধা/সমস্যা
- জোড়ায় কাজের মাধ্যমে সর্বপ্রকার শিখন অগ্রগতি লাভ সম্ভব নয়।
- মতপার্থক্য ঘটতে পারে।
- সময় বেশী লাগতে পারে।
- একে অন্যের সম্পর্কে নেগেটিভ ধারণা আসতে পারে।
- দুজনের মিল না হলে বিরোধ বাঁধে এবং মূলত শিখন অগ্রগতি কিছুই হয় না।