![img](https://teachers.gov.bd/shared/profile_pictures/Sb9YZm3syksFfhhnTg4fHme5kQPcNOObbGRldFI3.jpeg)
সিনিয়র শিক্ষক
২২ জুন, ২০২৪ ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ
সিনিয়র শিক্ষক
টাংগাইলের চমচম বাংলাদেশে বিশেষ জনপ্রিয় একটি মিষ্টান্ন। এটি মূলত খামারবাড়ি চমচম নামে পরিচিত, কারণ টাংগাইল শহরের খামারবাড়ি এলাকায় এর উৎপত্তি। চমচম তৈরির ইতিহাস প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো।
চমচমের ইতিহাস শুরু হয় ১৯ শতকের শেষ দিকে। এক কুমার (মিষ্টির কারিগর) চরণ কুমার দাস ১৮৯০ সালে প্রথম টাংগাইলের পোড়াবাড়ি এলাকায় চমচম তৈরির কাজ শুরু করেন। এর পর থেকেই টাংগাইলের পোড়াবাড়ি চমচম বিখ্যাত হয়ে ওঠে। এই মিষ্টির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর সুনির্দিষ্ট স্বাদ এবং দীর্ঘস্থায়ী টেক্সচার।
টাংগাইলের চমচম তৈরিতে প্রধান উপকরণ হল:
চমচম তৈরির জন্য প্রথমে ছানাকে ভালভাবে মথে (গুঁড়ো করে) গোল বলের আকারে গড়ানো হয়। এরপর এগুলো চিনির রসে ডুবিয়ে রান্না করা হয়। রান্না হওয়ার পরে, চমচমের উপর মাওয়া এবং মালাই লাগানো হয় এবং কখনও কখনও শুকনো ফল, বাদাম দিয়ে সাজানো হয়।
টাংগাইলের চমচম বিভিন্ন বৈচিত্র্য রয়েছে, যেমন:
টাংগাইলের চমচম শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বরং বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকাতেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে উৎসব ও বিশেষ অনুষ্ঠানে এটি একটি আবশ্যিক মিষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়। টাংগাইল শহরের বিভিন্ন দোকান চমচম বিক্রি করে থাকে, তবে পোড়াবাড়ি এলাকার দোকানগুলো বিশেষ জনপ্রিয়।
জয় কালী মিষ্টান্ন ভান্ডার, টাংগাইল।
টাংগাইলের চমচম আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মিষ্টান্ন হিসাবে পরিচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা এই মিষ্টান্নকে স্মৃতির অংশ হিসেবে নিয়ে গর্ব করেন।
টাংগাইলের চমচম শুধু একটি মিষ্টান্ন নয়, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী খাদ্য যা স্থানীয় কৃতিত্ব এবং প্রাচীন রন্ধনপ্রণালীর উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর বিশেষ স্বাদ ও টেক্সচারের জন্য চমচমের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে, যা বাংলাদেশের মিষ্টান্ন শিল্পে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেছে।