Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২২ জুন, ২০২৪ ১০:২৬ অপরাহ্ণ

"ছুটির দিনে দলে পড়ি,রিডিং স্কিল বৃদ্ধি করি।"

শিশুদের শিক্ষাগত সাফল্য লাভের পথে অন্যতম কাজ প্রতিদিন নিয়মিত ,সময়মতো বিদ্যালয়ে  আসা,পাঠ্য বই সাবলীল ভাবে পড়তে পারা। কিন্তু প্রত্যেক শ্রেণিতে কিছু শিক্ষার্থী তাদের বই সাবলীলভাবে পড়তে পারে না।বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন ছুটি ছাড়াও সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন ।এই সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটি কাজে লাগাতে চাই,রিডিং স্কিল বৃদ্ধি করে চাই।এই ইচ্ছা থেকেই আমার উদ্ভাবনী ধারণার সূত্রপাত।আমার উদ্ভাবনী গল্পঃ

“ছুটির দিনে দলে পড়ি,

  রিডিং স্কিল বৃদ্ধি করি।”

মহামারী কোভিড-১৯ এর সময়ে সারা দেশের মতো আটাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া,ঘাটতি দূরীকরণে ক্যাচমেন্ট এরিয়া ভিত্তিক ওয়ার্ক শীট বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠু  ভাবে চলে,এতে আমরা খুব উপকৃত হই।বিদ্যালয় খোলার পর নিরাময়মূলক পাঠদান চলে।তারপর বছর শেষ না হতেই শুরু হয় সাপ্তাহিক দুই দিন (শুক্রবার ও শনিবার) ছুটি।দূর্বল শিক্ষার্থীদের নিরাময়মূলক পাঠদান শ্রেণিতে পাঠের আগে ও পরে হয়,কিন্তু অনিবার্য করণে কিছু শিক্ষার্থীদের রিডিং দূর্বলতা দূর করা গেলো না।অবশেষে এসএমসি,পিটিএ,শিক্ষক ,অভিভাবক মিলে ছুটির দিনে দলে রিডিং পড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।এতে সহকারী শিক্ষকবৃন্দ নিজ ব্লকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

১. প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট ম্যাপ দেখে শিক্ষার্থী অনুপাতে বড় বাড়ি যেখানে খানা  বেশি তা চিহ্নিত করা হয়।তিনটি গ্রামের অংশবিশেষ বিদ্যালয় এরিয়াকে ১৬ টি দলে বিভক্ত করা হয়

২. প্রত্যেক দলে একজন কর্মঠ দলনেতা  নির্বাচন করা হয় ।হয়তো  ৪র্থ/৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অথবা বড় ভাইবোন অথবা মা যিনি স্বেচ্ছায় আনন্দের সথে এই দায়িত্ব নিয়েছেন।

৩. এবার মূল কার্যক্রম।প্রত্যেক ছুটির দিনে নির্ধারিত ব্লকের শিক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলা ও ইংরেজি রিডিং পড়া দেয়া।

৪. সময়ঃ সকাল ১০ টা –-১১টা

৫. প্রত্যেক ব্লক শিক্ষক ছুটি ঘোষনা করার আগে পাঠ নির্ধারণ করে দলনেতাকে বুঝিয়ে দিবে

৬৬প্রতি মাসে সেরা পাঠক তিন জনকে পুরষ্কার দেওয়া