Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

০২ জুলাই, ২০২৪ ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

“বিজ্ঞানের জ্ঞান লাভ করি নতুন কিছু তৈরি করি”

আসসালামু আলাইকুম বিজ্ঞানের জ্ঞান লাভ করি নতুন কিছু তৈরি করি এই গল্পে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি উপস্থাপনায় আমি রত্না খাতুন সহকারী শিক্ষক ধাদাশ সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় পুঠিয়া, রাজশাহী

কাজটি কেন হাতে নেওয়া হয়েছে: পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে, নতুন কিছু তৈরিতে উৎসাহিত করতে, বিজ্ঞানের জ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে এবং আধুনিক সৃষ্টির প্রযুক্তি গুলোর সাথে পরিচয় করে দিতে ধাদাশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সারা বছর লেখাপড়া করার পাশাপাশি ছোট ছোট সোনামণিদের মেধা বিকাশের লক্ষ্য সময়োপযোগী ও বৈচিত্রপূর্ণ মেলার আয়োজন করে যাচ্ছে

 কাজটি কীভাবে করা হয়েছে: প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদেরকে ডেকে বিজ্ঞান মেলা সম্পর্কে ধারণা দেন তাঁর পর থেকে খুদে বিজ্ঞানীরা তাদের নিজ নিজ প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে নানান বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রজেক্ট বানাতে থাকেন। তাদের প্রজেক্টগুলোর মধ্যে ছিল ভূমিকম্প সতর্কতার যন্ত্র, Save Earth, আগ্নেয়গিরি, রেন ওয়াটার হারভেস্টিং, সোলার সিস্টেম, জল মোটর, ছাকন প্রক্রিয়া, সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলোর সঞ্চালন, খাদ্য শৃংখল, সৌর প্যানেল, Sound pollution, মেঘ তৈরি, ওজন মাপার যন্ত্র , ঢেকি, মরিচ কাটা মেশিন ইত্যাদিনিজেদের তৈরি এই প্রজেক্টগুলো নিয়ে তারা যেমন আনন্দ পেয়েছে তেমনি তারা আজ অজানাকে জানতে পেরেছে সমস্ত কাজ শেষে একটু একটু করে জমানো মডেলগুলো নিয়ে আয়োজন করেছে বিজ্ঞান উৎসব বিজ্ঞান উৎসবের আর্কষণ বাড়িয়ে দিয়েছেন মান্যবর বিচারকগনদের উপস্থিত বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ফিশারিজ বিভাগ প্রফেসর ড. আওরঙ্গজীব মোঃ আব্দুর রহমান, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাল, মুনমুন সুলতানা উপজেলা শিক্ষা অফিসার, পুঠিয়া, রাজশাহী বিচারকগণ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রতিটা স্টল ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করে , তাদেরকে উৎসাহিত করেন প্রতিটা স্টল ছিল দর্শনীয় ও উৎসবমুখর এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, এস.এম.সি ও পিটিএ সভাপতি, অগণিত শিক্ষার্থী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবকবৃন্দ  

সর্বশেষে রাখা হয়েছে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। প্রতিটা প্রোজেক্টের উপস্থাপনা এত সুন্দর ছিল যে বিচারকদের বিচার করায় মুশকিল হয়ে পড়েছিল

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা: আমাদের দায়িত্ব ওদেরকে একটু হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে দেওয়াআমরা বিশ্বাস করি আমাদের আজকের ক্ষুদে বিজ্ঞানী রাই হবে আগামীর আইজ্যাক নিউটন, আলবার্ট আইনস্টাইন,, জগদীশচন্দ্র বসু ও টমাস আলভা এডিশনদের মত বিজ্ঞানী

  আমাদের এই উদ্ভাবনী আইডিয়া বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিল্প বিল্পব সম্পর্কে সৃষ্ট ধারণা লাভ করে নতুন নতুন সৃষ্টি অনুপ্রেরণা পেয়েছে শিক্ষার্থীরাও হয়ে উঠেছে আত্মবিশ্বাসী, সৃজনশীল, তাদের বুদ্ধিবৃত্তীয়, ব্যবহারিক দক্ষতা বেড়েছে, তারা বিদ্যালয় মূখি হয়েছে, ছোট্ট ছোট্ট সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বুঝতে সক্ষম হইয়েছে বিজ্ঞানের সব আবিষ্কারই মানব কল্যাণের জন্য সৃষ্টি বিজ্ঞান এভাবেই সকলের জীবনকে করে তুলেছে সহজ, অগ্রসর ও দ্রুতশীল এতক্ষন আমাদের এই উদ্ভাবনী গল্পের সাথে থেকে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য সকলের প্রতি রইল আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ধন্যবাদ