প্রধান শিক্ষক
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৯:৫৪ অপরাহ্ণ
শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে, সংগীত শেখাই মোরা সকাশে ।
বাতায়নপ্রেমী শিক্ষকবৃন্দ, আমার আপলোডকৃত উদ্ভাবনের গল্প দেখার অনুরোধ রইল ।
উদ্ভাবকের নাম : পপি মন্ডল, প্রধান শিক্ষক.
কবিরাজবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
নাজিরপুর, পিরোজপুর ।
উদ্ভাবনের গল্পের নাম :
”শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে, সংগীতি শেখাই মোরা সকাশে ।”
শিল্পকলা বিষয়ের কাযাবলী পরিচালনার ক্ষেত্রে নাচ,গান, হাতের কাজ,
বাগান করা এসবই সহপাঠ্যক্রমিক কাযাবলীর অংশ । এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধিত হয় ।
এ কার্যক্রমে আমি শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য ও সহযোগীতা করে থাকি। সহপাঠ্ক্রমিক শিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকের বিকাশ সাধন করে থাকে। সহপাঠ্ক্রমিক কার্যাবলীর মধ্যে বিভিন্ন ধরণের বৈচিত্রমূলক বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত থাকে বলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠে। সহপাঠ্ক্রমিক কার্যাবলীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশ সাধন সম্ভবপর হয়। যেমন-নিত্য,গীত,অংকন প্রভৃতি। সহপাঠ্ক্রমিক কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশ সাধন করা সম্ভব হয়। বিভিন্ন সহপাঠ্ক্রমিক কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ অনুভূতি জাগ্রত হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষায় অধিক মনোযোগী হতে পারে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ,প্রবণতা ও চাহিদার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সহপাঠ্ক্রমিক কার্যাবলী শিক্ষাক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। এখানে এখানকার সামাজিক কৃষ্টি বা সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে সহপাঠ্ক্রমিক কার্যাবলীর বিষয় বস্তু নির্ধারিত হয়ে থাকে। সহপাঠ্ক্রমিক কার্যাবলী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ের উৎপাদনশীলতার মনোভাব গঠন করে। যেমন- বাগান তৈরী,মোমবাতি তৈরী, সমাজসেবামূলক কাজ ইত্যাদি।
পরিশেষে বলা যায়, সহপাঠ্ক্রমিক কার্যাবলী পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার বৃহত্তর উদ্দেশ্য পূরণে এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়তা করবে বলে আমি আশা করি।