Loading..

প্রকাশনা

০১ মে, ২০১৮ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মহান মে দিবস - একটি দিবস একটি ইতিহাস একটি প্রেরনা
মহান মে দিবস প্রতি বছর ১লা মে পালিত হয় “মে দিবস” বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস । এই দিবসটি হলো শ্রমিক শ্রেণির আন্তর্জাতিক সংহতির দিন। বিশ্বব্যাপী 'দুনিয়ার মজদুর এক হও' শ্লোগান তুলে নতুন সংগ্রামের শপথ নেয়ার দিনই মে দিবস। মহান “মে” দিবসের ইতিহাসঃ আগে শ্রমিকদের প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা আর সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করতে হত। বিপরীতে মজুরী মিলত নগণ্য। এইজন্যে ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের একদল শ্রমিক দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন, এবং তাদের এ দাবী কার্যকর করার জন্য তারা সময় বেঁধে দেয় ১৮৮৬ সালের ১লা মে। কিন্তু মালিকপক্ষ এ দাবী মেনে নেয় নি। ৪ঠা মে ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের পহেলা মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের সামনে দৈনিক আটঘন্টা কাজের দাবিতে হাজারো শ্রমিক জড়ো হয়েছিল। শ্রমিক নেতারা জড়ো হওয়া শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন । হঠাৎ দূরে দাড়ানো পুলিশ দলের কাছে এক বোমার বিস্ফোরন ঘটে, এতে এক পুলিশ নিহত হয়। পুলিশবাহিনী তৎক্ষনাত শ্রমিকদের উপর অতর্কিতে হামলা শুরু করে এবং ১১ জন শ্রমিক শহীদ হন। পুলিশ হত্যা মামলায় নয় জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এক প্রহসনমূলক বিচারের পর ১৮৮৭ সালের ১১ই নভেম্বর উন্মুক্ত স্থানে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ফাঁসির মঞ্চে আরোহনের পূর্বে আগস্ট স্পীজ নামক এক শ্রমিক নেতা বলেছিলেন, "আজ আমাদের এই নি:শব্দতা, তোমাদের আওয়াজ অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী হবে"। কারাগারে এত কস্ট দেওয়া হয়েছিল যে , কস্ট সহ্য করতে না পেরে লুইস লিং নামের একজন কয়েদি নেতা কারাভ্যন্তরে আত্মহত্যা করেন। ২৬শে জুন, ১৮৯৩ ইলিনয়ের গভর্ণর অভিযুক্ত আটজনকেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা দেন, এবং রায়টের হুকুম প্রদানকারী পুলিশের কমান্ডারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের "দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার" দাবী অফিসিয়াল স্বীকৃতি পায়। ১৯৮০ সাল থেকে প্রতি বছরের ১লা মে বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে “মে দিবস” বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস”। ১৮৯০ সালের ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিষ্ট কংগ্রেসে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয়। মে দিবস শ্রমিকদের একটি বড় বিজয়। এই দিনটি সকলের ন্যায্য পাওনা আদায়ের সম্মিলিত ভাবে প্রচেষ্টা করার শিক্ষা বহন করে। আবুল কাশেম সুপার শোলার তাইড় কুতুবপুর দাখিল মাদরাসা ,বগুড়া

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি