Loading..

প্রকাশনা

০৬ জুন, ২০১৪ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম
কোন কোন স্কুলে দেখেছি যে ,তারা একটিমাত্র বা দুই/তিনটা রুমকে বিশেষভাবে সাজিয়ে নিয়ে ঐ রুমটাকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহার করছে। ব্যবহার শব্দটি এখানে প্রয়োগ করাটাও ঠিক হল না, কারন ঢাকঢোল পিটিয়ে যে রুমটাকে মাল্টিমিডিয়া রুম ঘোষনা করা হয়, সে রুমে ছাত্রছাত্রিেদের প্রবেশাধিকার ঘটে কদাচিৎ। অনেক ছাত্রছাত্রি জানেই না যে, তাদের স্কুলে একটা মাল্টিমিডিয়া রুম আছে! আসলে মাল্টিমিডিয়া রুম শব্দটাই অনেক ছাত্রছাত্রির কাছে অজানা! কথিত ঐ বিশেষ রুমটা যেন ইরাকের সেই no fly zone এর মত no entry zone হয়ে যায়। বড় বড় তালা ঝুলতে থাকে রুমের দরজায়! চাবি হেডস্যারের কব্জায়। স্কুলের সকলের মাঝে এই ধারনা ছড়িয়ে যায় যে, ঐ রুমে যেহেতু দামি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর আছে, ল্যাপটপ আছে, প্রজেক্টর স্ক্রিন আছে , তাই ওটার দরজায় তালা ঝুলিয়ে রাখাই ভাল বা ঐ রুমে পারতপক্ষে না ঢোকাই উচিত! আসলে , একটা ভাল উদ্যোগ কে কিভাবে মাঝপথে পচিয়ে দেওয়া যায় , জাতি হিসেবে আমরা সেটাই যেন শিখে নেই আগে! আরে বাবা , পুরো স্কুলের ভিতর মাত্র একটা বা দুই তিনটা রুমকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম বানানোর বুদ্ধীটা মাথায় এল কেন? কে ঢূকালো এই নেগেটিভ বুদ্ধী? স্কুলের প্রতিটা ক্লাসরুম ই হবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। ভাবছেন কিভাবে এটা সম্ভব? কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন , আমাদের মত গরীব দেশে প্রত্যেকটা রুম কে মাল্টিমিডিয়া রুম বানানো অসম্ভব। আসলে এগুলি ভুল চিন্তাা প্রজেকটরের সাথে ল্যাপটপ এর বিদ্যুৎ সংযোগের জনে প্রতিটা ক্লাসরুমে শুধু একটি করে থ্রি পিন প্লাগ /সকেট লাগাতে হবে আর রুমের দেয়ালের একটা যতসই জায়গা সাদা রং করে দিতে হবে। কত খরচ হবে এতে? খুব বেশী কি? এমন তো নয় যে , প্রতিটা প্রিয়ডেই কিংবা একই সাথে প্রত্যেকটা ক্লাসে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালাতে হবে। যেদিন যে শিক্ষক মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নিতে চাইবেন , সেদিন সে শিক্ষক প্রজেক্টর আর ল্যাপটপ সহ ঐ ক্লাস রুমে উপস্থিত হবেন, ব্যাস। অথচ তা না করে আমরা বিশেষ একটা রুম কে মাল্টিমিডিয়া রুম বানিয়ে তাতে তালা লাগিয়ে দিয়ে গরব ভরে বলি , "আমাদের স্কুলে মাল্টিমিডিয়া রুম আছে !"

আরো দেখুন