Loading..

প্রকাশনা

০১ নভেম্বর, ২০১৯ ১০:৪০ অপরাহ্ণ

আশ্চর্যতম সূর্য ঘড়ি!!!


আশ্চর্যতম সূর্য ঘড়ি!!!

শতাব্দীর সাক্ষি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সন্তোষ জাহ্নবী উচ্চ বিদ্যালয়। সাথে  বয়ে নিয়ে চলছে প্রাচীন সভ্যতার ঐতিহাসিক কীর্তি। সূর্য ঘড়ি তার অন্যতম অবদান। যখন আধুনিক ঘড়ি ছিল মানুষের ধারনার অতীত তখন যুগের সময় মিটাতে এই সূর্য ঘড়ি নির্মাণ করেন ১৮৭০ খ্রি. তৎকালীন বিখ্যাত পুরুষ পি.সি সেন, এম.এ।

উল্লেখ্য যে, এই ঘড়িটি পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ১৭০ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য এবং ২১ ইঞ্চি প্রস্থ দাগ কাটা স্তম্ভের সাথে  উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ৭৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ৩১ ইঞ্চি প্রস্থ স্তম্ভের  উপর ৭৮ ইঞ্চি লম্বা ও ২১ ইঞ্চি পাশ দিয়ে উভয় মাথা ৪৮ ইঞ্চি উঁচু এবং ২১ ইঞ্চি  নিচু করে উভয় দক্ষিণে লম্বা-লম্বি করে ঘড়ির ঘন্টা ও মিনিটের একটি পিলার স্থাপন করা হয় এবং পিলারের মাথায় একটি বারো মাসের পঞ্জিকা দেওয়া হয় যাতে ষড় ঋতুতে সূর্যের ছায়ায় অবস্থান দেখে সঠিক সময় নির্ণয় করা হয়।

আমাদের দেশে অনেক কীর্তিই আছে যা ইতিহাসে বিরল। শতাব্দীর স্বাক্ষর এই সূর্য ঘড়িটি এক সময় ছিল মানুষের কাছে আশ্চর্যতম। কালের চাকায় পিষ্ঠ হয় প্রাচীন সৃস্টি। আবার সৃষ্টি হয় নতুন সৃষ্টি। তাও একদিন আগামীকালের জন্য পুরাতন হয়ে যায়। দুর্লভ সুনিপুণ ভাবে নির্মিত সূর্য ঘড়িটি আজও আমাদের দেশের জন্য প্রাচীন শিল্পের এক উজ্জল ভাস্কর। যুগের হাত ধরে এই সূর্য ঘড়িটি এখনও নির্জীব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চলমান সময়ের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে।

( মো. মিয়াচান)

সহকারী প্রধান শিক্ষক

সন্তোষ জাহ্নবী উচ্চ বিদ্যালয়

                                                                                                                সন্তোষ, টাংগাইল।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি