Loading..

খবর-দার

২০ নভেম্বর, ২০১৯ ১১:৩৫ অপরাহ্ণ

লবণের গুজব ও শিক্ষিত পাড়ার কিছু মানুষের কার্যকলাপ।

লবণের গুজব ও শিক্ষিত পাড়ার কিছু মানুষের কার্যকলাপ। 

একজন শিক্ষক শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয় একটা সমাজ, একটা এলাকার মানুষের কাছে আইডল হিসাবে থাকে, সমাজের ভাল মন্দ কাজে ঐ শিক্ষককে গুরুত্ব দেওয়া হয়, মতামত চাওয়া হয়, ম্যাক্সিমাম মানুষ এই ধরণের মানুষদের ফলো করে। ঠিক এমনই ভাবে পছন্দ করে সমাজের অন্যান্য শিক্ষিত মানুষদেরও । কিন্তু লবণের গুজবে কান দিয়ে যদি একজন শিক্ষক সকালে ফজরের নামাজের সালাত আদায় করে মোনাজাত না দিয়েই তাড়াহুড়ো করে দোকানে গিয়ে  ৫ কেজি লবণ কিনে, তাহলে সে সমাজের বাকী মানুষ গুলোর অবস্থা কী হবে তা অনুধাবন করার বিষয়  এবং সেই সমাজের মানুষ গুলো কী করবে? অবশ্যই পরের ঘটনার জন্য ঐ সমাজের বাকী মানুষ গুলো দায়ী থাকবে না কারণ ঐ মানুষ গুলো তো জানেনা যে লবণ আমাদের দেশের উৎপাদন করা একটি পণ্য। যা আমাদের চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি প্রোডাকশন হয়। লবণের ঘাটতি  কোন ভাবেই পড়ার কথা নয়। 

তাহলে আমরা শিক্ষক হয়ে নিজেকে কোন শ্রেণির মানুষের সাথে মিশিয়ে দিলাম?  আমি শিক্ষক বা শিক্ষিত একজন মানুষ হয়ে ভাবার কথা ছিলনা যে লবণের দাম বেড়ে ১২০ টাকা কিভাবে হবে? একটু কী চিন্তার বিষয় ছিল না? একটু কী খোঁজ খবর নেওয়া যায়না যে বাতাসের মাধ্যমে শুনা খবরের?  তাহলে আমাদের মাঝে আর সাধারণ মানুষের মাঝে কোন পার্থক্য রইলো? 

বুঝলাম বর্তমানে পেঁয়াজের বাজার আগুন!  কিন্তু পেঁয়াজ আর লবণ কী একই ধরণের জিনিস? পেঁয়াজ এমন একটি সবজি যা সবসময় আমদানী  নির্ভর হয়ে দাড়িয়েছে অনেক বছর ধরে বাংলাদেশে। কোন ভাবেই পেঁয়াজের সাথে লবণের তুলনা করা যায় না। 

সব শেষে বলবো আমরা শিক্ষক, আমরা সব জায়গায় নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করি, বড় গলায় শিক্ষার্থী বা সমাজের মানুষ কে উপদেশ দিয়ে থাকি। আমরা শ্রেণি কক্ষে বড় গলায় গুজবের বিরুদ্ধে কথা বলি, নৈতিক বাক্য বলে থাকি, সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করি আর আমরাই যদি দিন শেষে লবণের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ি বা পড়লাম। 

আমাদের কথা ও কাজের মিল থাকতে হবে। এভাবেই শিক্ষক বা শিক্ষার সম্মান কমে গিয়াছে সমাজের কাছে এই ধারা অব্যাহত থাকলে শিক্ষকের সম্মান তলানিতে এসে যাবে। 

বিঃদ্রঃ সমাজের অনেক শিক্ষিত মানুষ  লবণের এই গুজবে কান দিয়েছিল যা বিভিন্ন মিডিয়া ও  সামাজিক মাধ্যমে দেখেছেন, আমার বাস্তব দেখা থেকে একটু তুলে ধরেছি। 

অসাধু ব্যাবসায়ীদের অসাধু কার্যক্রমের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ  করি। যে কোন ধরণের গুজবে কান না দেই। গুজবের ব্যপারে আরো অনেক বেশি সচেতন হই অপরকে সচেতন করি।