সহকারী শিক্ষক
০৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৯:০১ পূর্বাহ্ণ
Study Tour 2019 to Ranggamati
টাইপঃ সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণিঃ দশম
বিষয়ঃ বাংলা সাহিত্য
অধ্যায়ঃ ত্রিংশ অধ্যায়
রাংগামাটি ভ্রমন মাএ মাত্র ১৫০০ টাকা,
ভ্রমনের তারিখ: ১৮-১৯ ডিসেম্বর ২০১৯
টিকেট কেনার সর্বশেষ তারিখ: ১২ দিসেম্বর ২০১৯ ইং।
যেকোন প্রয়োজনে:
01732-313838(প্রতিষ্ঠান প্রধান)
01911-966914 (শরীফ স্যার)
বি.দ্র: প্রতিষ্ঠানের বর্তমান শিক্ষক শিক্ষার্থীরাই শুধুমাত্র এই ভ্রমনের অংশগ্রহণ করতে পারবে।
=========== ভ্রমনের বিস্তারিত ===========
১৮তারিখ বুধবার রাত ৯টায় প্রতিষ্ঠানের গেট থেকে শান্তি পরিবহন করে রাংগামাটির উদ্দেশ্যে আমাদের যাত্রা শুরু হবে। সারারাত গাড়িতে গাড়িতে থেকে রাত ৩ টায় যাত্রা বিরতি ১৫ মিনিটের জন্য।
সকালে রাংগামাটি পৌছে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করবো। নাস্তা করে বড় বড় বোটে করে ভ্রমন ভ্রমন শুরু করবো। প্রথমে য আমরা ভ্রমন করবো রাংগামাটি ঝুলন্ত সেতু বা সাসপেনশন সেতু একটি সেতু যার একটি ডেক (ভারবহনের অংশ) সেতুর দুই প্রান্তের স্তম্ভের মধ্যে ঝুলন্ত ধাতব মোটা তারের সঙ্গে উল্লম্ব সাসপেনশন তারের নিচে নিক্ষিপ্ত হয়। এই ধরনের সেতুর প্রথম আধুনিক উদাহরণটি ১৮ শতকের প্রথম দিকে নির্মিত হয়েছিল। সহজ সাসপেনশন সেতু, যার উল্লম্ব পতনরোধকারীর অভাব রয়েছে, বিশ্বের অনেক পাহাড়ী অংশে এই সব সেতুর ব্যবহারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
এর পর আমরা উপভোগ করব শুভলং ঝর্ণা।
#শুভলং ঝর্ণা। এটি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলায় অবস্থিত। রাঙ্গামাটি সদর হতে শুভলং ঝর্ণার দুরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। শুকনো মৌসুমে শুভলং ঝর্নায় খুব সামান্য পানি থাকে। বর্ষা মৌসুমে শুভলং ঝর্ণার জলধারা প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে নিচে আছড়ে পড়ে কাপ্তাইয়ের জলে গিয়ে মেশে।
এর পর রাজবন বিহার
#রাজবন বিহার বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম বিহার রাঙামাটি শহরের অদূরেই অবস্থিত। ১৯৭৭ সালে বনভান্তে লংগদু এলাকা থেকে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য রাঙামাটি আসেন। বনভান্তে এবং তার শিষ্যদের বসবাসের জন্য ভক্তকূল এই বিহারটি নির্মাণ করে দেন। চাকমা রাজা দেবাশিষ রায়ের তত্ত্বাবধানে রাজবন বিহার রক্ষণাবেক্ষনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়।প্রতিবছর পূর্ণিমা তিথিতে রাজবন বিহারে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রাজবন বিহার বাংলাদেশের অন্যতম বৌদ্ধ তীর্থ স্থান।
এর পর #কাপ্তাই লেক/
কাপ্তাই লেক বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের রাঙামাটি জেলার একটি কৃত্রিম হ্রদ। কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৯৫৬ সালে কর্ণফুলি নদীর উপর কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করা হলে রাঙামাটি জেলার ৫৪ হাজার একর কৃষি জমি ডুবে যায় এবং এ হ্রদের সৃষ্টি হয়।
এর পর #রাজবাড়ি/
রাঙামাটির রাজবনবিহারের পাশেই কাপ্তাই লেকের ছোট্ট একটি দ্বীপজুড়ে রয়েছে চাকমা রাজার রাজবাড়ি। বর্তমানে চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, তার স্ত্রী য়েন য়েন ও মা আরতি রায় এ বাড়িতে থাকেন। চারিদিকে হ্রদ বেষ্টিত এই রাজবাড়ি পুরনো হলেও দেখেতে ও বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে রাজদরবার, কাচারি, সজ্জিত কামানসহ দেখার মতো অনেক কিছু আছে। উপজাতীয় পোশাকও পাওয়া যায় এখানে। নৌকায় পার হয়ে খুব সহজেই যাওয়া যায় এই বাড়িতে। আঁকা-বাঁকা সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে গাছের ছায়ায় ইট বাঁধানো পথের মাথায় এ সুন্দর বাড়িটি। এখানে আরো রয়েছে চাকমা সার্কেলের প্রশাসনিক দফতর।
তার পর যাত্রা
বড় বুদ্ধ মূর্তি/
আদিবাসী গ্রাম/
মারমেইড/
মেজাং/
জুমঘর/
দুপুরবেলা আমরা যেকোন একটা দ্বীপে দুপুরের খাবার খাব। দুপুরের খাবার খেয়ে সন্ধা পর্যন্ত বোটে করে ঘুরতে থাকব। সন্ধা থেকে রাতের খাবারের পূর্বে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে শফিং এর জন্য। এর পর রাতে খাবার খাবার খেয়ে রাত ১১টায় গাড়িতে উঠব এবং আসতে আসতে সকাল হবে। এভাবে আমরা আমাদের ভ্রমন উপভোগ করব।