সহকারী শিক্ষক
১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৮:০৬ অপরাহ্ণ
মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংগীতের অনুশীলন
ছোটবেলা থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ভাষণ শুনেছি।বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত শুনেছি।ছাত্র জীবনে অসংখ্যবার জাতীয় সংগীত গেয়েছি এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত বাজানো দেখেছি।দেশের গানের প্রতি টান সেই ছাত্র জীবন থেকেই ।এমন ও সময় গিয়েছে জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ ও দেশের গান শুনলে গায়ের লোম গুলো দাঁড়িয়ে যেত ।অন্যরকম এক শিহরণ অনুভব করতাম।এখনো এমন হয়।ছাত্র জীবন শেষ করে যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করি শুরু করেছিলাম খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে।তখন থেকেই উপজেলার ও জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে যেতে হতো।সেখানে ও দেখতাম বেশীরভাগ শিক্ষার্থীরা ভালো করে জাতীয় সংগীত গাইতে পারতো না।দেখতাম জাতীয় অনুষ্ঠান গুলোতেও জাতীয় সংগীত শুদ্ধভাবে অনেকেই গাইতে পারতো না ।এই বিষয় আমাকে খুব কষ্ট দিতো। ২০১৫ সালে যখন আষ্টা মহামায়া পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়,ফরিদ্গঞ্জ,চাঁদপুরে নিয়োগ পাই চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীদের ভালো কিছু শিখাতে। ২০১৭ সালে জাতির পিতার শাহাদাৎ বার্ষীকিতে প্রথম বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পুরোটা মুখস্ত করে করে পরিবেশন করি।আমার এই কাজে তেমন কোন শিক্ষক উৎসাহিত করতো না বরং উপহাস করতো বেশির ভাগ শিক্ষক।কিন্তু শিক্ষার্থীরা ঠিকই আমার এ কষ্টকর কাজকে অনুপ্রেরণা হিসাবে নিয়েছে।ঠিক তার পরের বছর ২০১৮ সালের স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এক ছাত্র বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ দিয়ে পুরস্কার লাভ করে ।তখন নিজে খুব আনন্দিত হই। আগামী ২০২০ সালে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুজিববর্ষ পালিত হবে। যা আমাদের জন্য গর্বের ও আনন্দের।মুজিববর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন শিখানোর জন্য গত অক্টোবর- ২০১৯ মাসের বেতনের পুরো অংশ দিয়ে হারমোনিয়াম কিনে একজন ওস্তাদ রেখে নিজে খুব পরিশ্রম করে জাতীয় সংগীত শিখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।মুজিববর্ষ থেকে আমি আমার স্কুল থেকে শুরু করবো শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন।সকলের দোয়া/আশীর্বাদ প্রত্যাশা করছি।