Loading..

খবর-দার

২২ মার্চ, ২০২০ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ

করোনার বন্ধে টিভিতে প্রচার করা হবে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ‘সংসদ টেলিভিশনে’৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক শ্রেণী কার্যক্রম প্রচারের সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এটুআইয়ের সহায়তায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। পরীক্ষামূলকভাবে আগামী মঙ্গল, বুধ ও বৃস্পতিবার শ্রেণি কার্যক্রম প্রচার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা সফল হলে পরবর্তীতে সংসদ টিভিতে প্রতিদিন ৭টি করে প্রতিসপ্তাহে ৩৫টি ক্লাস প্রচার করা হবে। শিক্ষার্থীরা বাসায় বসেই টেলিভিশনে নিজ নিজ বিষয়ের ওপর অভিজ্ঞ শিক্ষকদের কাছ থেকে পাঠলাভ করতে পারবে। এছাড়া দৈনিক শিক্ষায়ও দেখেতে পাবেন। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘করোনার বন্ধে টিভিতে পড়াশোনা করানো একটা চমৎকার আইডিয়া।’  

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘এ টু আই’ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায় মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের এই একাডেমিক কার্যক্রম প্রচারের বিষয়ে গত শুক্র ও শনিবার সভা ও ক্লাস রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পাঁচ শ্রেণীর (৬ষ্ঠ থেকে ১০ম) শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘ব্যানবেইস’, মোবাইল ফোন কোম্পানি ‘রবি’ এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডিও’তে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর বিভিন্ন বিষয়ের পাঠদান রেকর্ডিং শুরু হয়েছে। বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশেও মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, ইতোমধ্যে দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। এ কারণে যতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ততদিনই টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন এটুআইয়ের কর্মকর্তারা। 

তবে, ভিন্নমত পোষণ করেছেন অনেক শিক্ষাবিদ তারা বলেছেন, কেন স্টুডিওতে যেতে হবে? তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ কি করে হলো? এই করোনার মধ্যে শিক্ষকরা কেন স্টুডিওতে রেকর্ড করতে যাবেন? 

গত ১৬ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ঘরে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়|

পরবর্তীতে গত ১৮ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে ১৮ মার্চ থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল এবং শিক্ষার্থীরা যাতে বাসায় অবস্থান করে তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এ ছুটিকে সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।