সহকারী প্রধান শিক্ষক
২৩ মার্চ, ২০২০ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
অপেক্ষা
মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম
তুমি
জানো কি?
জানলাধারের
নিম গাছটার ছোট ছোট পাতায়
যখন
টুপ করে ঝড়ে পড়ে একটি নিঃসংঙ্গ বৃষ্টিফোটা,
তখন সব
ছেড়ে-ছুড়ে উদাস হয়ে যাই ; অথচ
মৌটুসির
মতো পাখা ঝাপটায় চঞ্চল মনটা।
তুমি
জানো কি?
বৃষ্টিভেজা
পত্রফলকের মতো সিক্ত হয়ে, হৃদয়টা
বারংবার
মৃদু কম্পনে পুনর্জন্ম দেয় সুপ্ত অনুভুতি।
সুভ্র
মেঘের মতো অনুভূতিগুলো ছুটে চলে অবিরাম
সংশয়হীন
চির আশ্রয় রুখে দিতে চায় তার গতি।
তুমি
জানো কি?
মনে কত
সাধ আহ্লাদ জাগে সেই উদাস বেলায়?
পুবের
জানালা ভেদিয়া স্নিগ্ধ আঁখি ছুটে যায় বহুদুর;
তোমার
আবছায়া মুখখানি খুঁজে ফিরে ব্যর্থ হয় সে,
না
পাওয়ার হাহাকার তীব্র হয় মনের আঙিনায়।
তুমি
কি বলতে পারো?
কেন এ
শুন্যতা ঘিরে আছে মনের উঠোন জুড়ে ,
আবেগের
মহাসমুদ্রে কেন এত হাহাকার?
মায়ার
সুতোয় অপেক্ষার জাল বুনে বুনে ক্লান্ত আমি,
তবু
কেন ফুরায় না আমার অপেক্ষার প্রহর?
তুমি
বলতে পারবে কি?
ঠিক
কবে চারা দেবে সুপ্ত স্মৃতির অনুভূতির বীজে,
শুকনো
জবার গাছটা আবার কবে পাবে প্রাণ ফিরে?
কৃষ্ণ
কাকেদের কর্কশ গলাটা ঠিক কবে ,
স্নিগ্ধ
শীতল সুমধুর সুরের মূর্ছনায় উঠবে ভিজে?
তবে
চিনে নাও তুমি,
সিড়ি
ঘরের দক্ষিণ পাশের সেই ছোট্ট বেলকোনি
যেখানে
থরে থরে সাজানো তোমার প্রতিচ্ছবি।
তোমার
উত্তরের আশায় , তোমার অপেক্ষায়,
সেখানে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা হাতে দাঁড়িয়ে থাকবো আমি।