করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে মানুষ সামাজিক দূরত্বের
নিয়ম ঠিকঠাক মানছে কি না, তা দেখাতে নতুন টুল বা প্রোগ্রাম উন্মুক্ত করছে ফেসবুক।
ব্যবহারকারীর অবস্থানগত তথ্য বিশ্লেষণ করবে ফেসবুকের এ টুল। সোমবার ফেসবুক
কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের তৈরি ‘ডিজিজ প্রিভেনশন
ম্যাপস’ তৈরি হচ্ছে ‘ডেটা ফর গুড’ কর্মসূচির আওতায়। বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ কীভাবে চলাফেরা করছে, তা এ
ম্যাপ থেকে দেখা যাবে। সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছে, তাদের তৈরি ম্যাপ ও অন্যান্য তথ্য জনস্বার্থ নিয়ে কাজ করা কর্মকর্তাসহ
নীতিনির্ধারকেরা কাজে লাগাতে পারবেন। এতে কোন এলাকায় করোনাভাইরাস বেশি ছড়াচ্ছে, তা
জানা যাবে।
ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী তাদের জিজ প্রিভেনশন ম্যাপসে
থাকবে কো-লোকেশন ডেটা নামের ফিচার, যাতে এক এলাকার মানুষ অন্য কোথাও সংস্পর্শে
আসছে কি না, তার পূর্বাভাস দেখা যাবে। এ ছাড়া মানুষের ঘোরাফেরার সীমানার ট্রেন্ড,
বিভিন্ন এলাকায় মানুষের সামাজিক সংযুক্ত থাকার সূচক প্রভৃতি ফিচার থাকবে। তবে এতে
নির্দিষ্ট ব্যক্তির চলাচলের ধরন দেখানো হবে না।
ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা মনে করি ফেসবুকসহ অন্যান্য বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো
মহামারির সময় আরও উদ্ভাবনী পদ্ধতি খুঁজে বের করতে পারে। তবে এ সময় যাতে প্রাইভেসি
লঙ্ঘন না হয়, তারও খেয়াল রাখতে হবে।
ফেসবুকে ব্যক্তির অবস্থানগত তথ্য জানতে না দেওয়ার সুযোগও রয়েছে। এ
তথ্য শেয়ার করা হবে কি না, তা ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবে, ফেসবুক
কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা অন্যান্য ফিচার ব্যবহার করে ব্যক্তির চলাফেরার বিষয়টি ধরতে
পারে।
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, তাদের এ উদ্যোগ
ভালোভাবে এগোলে এটি আরও বিস্তৃত আকারে আসতে পারে। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে এটি
শুরু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি চালু হবে।
ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলছেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে মানুষ কেন
নিয়মকানুন মানছে না, সে তথ্য দেওয়ার পরিবর্তে ওই এলাকায় প্রবণতাগুলো তুলে ধরবে
তাদের টুল।
বোস্টন চিলড্রেনস হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জন
ব্রাউনস্টেইন বলেছেন, ‘এ ধরনের কোম্পানিগুলোর
কাছে মানুষের বিস্তারিত তথ্য আছে। তারা তথ্য ব্যবহার করে সামাজিক সংযোগ বা তাদের
নেটওয়ার্কের মধ্যে সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানাতে পারে। আশা করছি, তারা বিশ্বজুড়ে
জনস্বাস্থ্য–সম্পর্কিত
সিদ্ধান্ত গ্রহীতাদের জন্য এ তথ্য তারা জানাবে।’
অবশ্য শুধু ফেসবুক নয়, একই ধরনের
ম্যাপ তৈরিতে কাজ করছে গুগল। মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকেও চ্যাটবটসহ অন্যান্য টুল তৈরি
করা হচ্ছে।