Loading..

প্রকাশনা

০৮ এপ্রিল, ২০২০ ০৮:৩০ অপরাহ্ণ

লোকালয়ে মুরগীর খামার

মোবারক বাগমারা(রাজশাহী)

রাজশাহী বাগমারা উপজেলায় সর্বত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ মুরগীর খামার। বিশেষ করে বাগমারা উপজেলার ২নং নরদাশ ইউনিয়নেে ব্যাপকহারে,  নিয়ম কানুন না মেনেই খামার গুলো যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। এমন ঘটনায় উপজেলা নরদাশ ইউনিয়নের সাঁইধারা গ্রামের অর্ধশতাধিক লোক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা ইনর্চাজ, ও পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর প্রেরন করেছে। অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নরদাশ ইউনিয়নের সাঁইধারা গ্রামের দবির সরদারের ছেলে মুকবুল হোসেন অন্যায় ভাবে অন্যের বাড়ির পাশে অথাৎ মোঃ বুলবুল হোসেন ও কেরামত আলীর বাড়ির পাশে দুটি মুরগীর খামার স্থাপন করেন। মুরগীর খামার স্থাপনের পর থেকেই এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়। এমনকি বর্তমানে করোনা ভাইরাসের চাইতে মুরগীর খামারের জন্য ওই এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। এর মধ্যেই তিনি কোন তোয়াক্কা না করে, আবারো দুটি মুরগীর খামার স্থাপনের জন্য কাজ শুরু করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হলে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি মুকবুল হোসেনর পক্ষ নিয়ে স্হানীয় লোকজন কে এলাকায় ছাড়ার হুমকি দেয়। এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার ভয়ভীতি দেখায়। এলাকার লোকজন তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মুরগীর খামার স্থাপনের পর থেকেই আশেপাশের বাড়ির শিশু সন্তানেরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মুরগির খামারের দুগন্ধে এলাকার লোকজন ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে পারছে না। এ বিষয়টি নিয়ে তার আপন ভাইসহ স্থানীয় লোকজনের সাথে প্রায় দ্বন্দ লেগে থাকে। সম্প্রতি কয়েকদিন আগে মুকবুল হোসেন তার নিজ খামারের মুরগী মরে গেলে  অন্য  লোকজনের উপর চাপানোর জন্যে মিথ্যা তথ্য সাংবাদিক কে দিয়ে  সংবাদ পরিবেশন করায় , যা আজও সত্য নয়। এই মুরগির খামারের বিরুদ্ধে একাধিক বার স্থানীয় পত্র পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন হয়েছে।কিন্তু তার পরেও থেমে নেই কোন কার্যকম প্রশাসন যেন নিরব।    মুরগী খামারের মালিক মুকবুল হোসেন শুধু স্থানীয় লোকজনের সাথে ঝামেলা করেন না। তিনি সাংবাদিকদের ও হুমকি দেন দেখে নিবে বলে। এ বিষয়টি নিয়ে খামারি মুকবুল হোসেনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি রাজি হয়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার কাছে যেন অচিরেই এ খামার গুলো সরিয়েএলাকা শান্তি স্থাপন করার জন্য। বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শরিফ আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

কিন্ত আদও কি হবে ?


আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি