Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৪ মে, ২০২০ ০৪:০৯ অপরাহ্ণ

ঈদের কষ্টমানুষের পাশে

হাতীবান্ধার ‘কষ্টমানুষদের’ পাশে দাঁড়ালাম, দাঁড়াতে পারেন আপনিও

কিংবদন্তি। বয়স চার বছর ৫ মাস। সাংবাদিক Haidar Ali Babu ও স্কুল শিক্ষক Arifa Sultana দম্পত্তির  একমাত্র মেয়ে। বাবা-মায়ের কাছে শুনে হোক কিংবা টিভি দেখে হোক কিংবদন্তি এখন খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে করোনাভাইরাস বা Covid-19 এর বিপদের কথা। তাকে এখন জোর করলেও সে আর বাইরে যেতে চায় না। এবার ঈদেও সে কেনাকাটা করবে না...

ঈদে কি কি কিনবা-বাবার এমন প্রশ্নে সে বাবাকেই ‘পাগল’ বলেছে। মানে করোনাকালে যে বাজারে বা কেনাকাটায় যাওয়া যাবে না এটাও বুঝেগেছে সে। পাগল বাবা এবার মেয়ের কাছে জানতে চায়-‘জামা-জুতার টাকা তাহলে কী করবো’। কিংবদন্তির উত্তর, ‘টাকাগুলো দিয়ে কষ্টমানুষদের খাবার কিনে দিবো’। যারা গরীব-অভাবি মানুষ মেয়েটির ভাষায় তারা ‘কষ্টমানুষ’। মেয়ের কথায় বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেন, এবারের ঈদে পুরো পরিবার কোনো কেনাকাটা করবেন না। তারা ১৫ হাজার টাকা দিয়ে তহবিল গঠন করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন(লেখার শেষাংশে লিংকযুক্ত করা হলো)।  ‘ঈদে কষ্টমানুষদের পাশে’ শিরোনামে লেখাটি পড়ে এখন অনেকেই যুক্ত হচ্ছেন এর সাথে, ১৫ হাজার টাকা আজ (১৪ মে) হয়েছে এক লাখ ১৫ হাজার। পরিমাণ আরও বাড়বে...। ঈদে এই টাকা ব্যয় হবে শুধুমাত্র কর্মহীন মানুষের পরিবারের খাবারের জন্য। যাতে থাকবে মাংস, চিনি-সেমাই, চাল, ডালসহ নানা খাদ্যসামগ্রী।

এত ছোট একটি শিশু তার বাবা-মায়ের সাথে আমাদেরও মাথা খুলে দিয়েছে। আসলেই এবার দৈনিক মজুরী খাটা গতর খাটা মানুষ গুলোর কি হবে? কাজ নাই, দোকান বন্ধ, বাস বন্ধ, ট্রাক বন্ধ, হোটেল বন্ধ। এসব সচল রাখতে যারা নিয়োজিত ছিলো তারা নিজেরেই আজ অচল। কালীগঞ্জে প্রাথমিকভাবে বাবু ভাই টার্গেট নিয়েছিলেন ১০০ পরিবারের মাঝে এক হাজার টাকার খাদ্য বিতরণের। কিন্তু এতটাই সাড়া পাওয়া গেছে যে, এখন হয়তো ২০০-এর বেশি মানুষ সহায়তার আওতায় আসছে...

হাতীবান্ধার ‘কষ্টমানুষদের’ জন্য কিছু করতে পারি না? বাবু ভাইকে বলতেই তিনি রাজী। তিনিও চাচ্ছেন কষ্ট মানুষের প্রজেক্ট থেকে হাতীবান্ধারও কিছু পরিবার উপকৃত হোক। তাহলে আমাদের কি বসে থাকা উচিত?

আসুন ঈদে কেনাকাটা বর্জন করে কিংবা নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা হাতীবান্ধার কষ্টমানুষদের পাশে দাঁড়াই। এখান থেকে প্রাপ্ত অনুদান এখানকার মানুষের জন্যেই ব্যয়হবে। সাথে এর মূল উদ্যোগক্তারাও চেষ্টা করবেন হাতীবান্ধার তহবিলে সহায়তা করার।

সেই ছোট্ট শিশুটির সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে একমত পোষন করে আমার কেনাকাটা বর্জন করে সেই টাকা দিয়ে যাত্রা শুরু করতে চাই এখানকার তহবিলের। আপনিও পাশে দাঁড়াতে পারেন কষ্টমানুষদের। এই ক্রান্তিকালে অন্তত ঈদের দিনটি যেন তাদের ভালো কাটে...https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3228651523811573&id=100000002701974 দয়া করে ঘুরে আসতে পারেন উপরের লিংকে । 


সোহেল রানা, 01714554491 (বিকাশ/পার্সোনাল)। কেউ ব্যাংকের মাধ্যমে সহায়তা পাঠাতে চাইলে নক করুন, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যাংকের হিসাবনম্বর সরবরাহ করবো।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি