Loading..

ভিডিও ক্লাস

১৯ মে, ২০২০ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

সনাতন পদ্ধতিতে গাভী দুগ্ধ দোহন

নবম-দশম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা বিষয়ের সপ্তম অধ্যায়ের ২য় পরিচ্ছেদঃ পারিবারিক দুগ্ধ খামারের পাঠ = গাভী দুগ্ধ দোহনের ধাপ- (১) দুগ্ধ দোহনের সময়ঃ- প্রতিদিন দুইবার অথবা তিনবার দুগ্ধ দোহন করা যায়। নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে দোহন করলে দুধ উৎপাদন বাড়ে। (২) গাভী প্রস্তুত করাঃ- দুধ দোহনের পূর্বে গাভীকে উত্তেজিত বা বিরক্ত করা যাবে না। কোন অবস্থাতেই গাভীকে মারধর করা যাবে না। দুধ দোহনের পূর্বে গাভীর ওলান ও বাট কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে। তারপর পরিস্কার কাপড় বা তোয়ালা দিয়ে ওলান ও বাট মুছে দিতে হবে। (৩) গোয়ালা প্রস্তুতিঃ- দোহনের পূর্বে গোয়ালাকে পরিস্কার কাপড় পরিধান করতে হবে। গামছা বা কোনো কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখতে হবে। দোহনকারীর নখ কেটে নিয়মিত পরিস্কার রাখতে হবে। (৪) দোহনের জন্য পরিস্কার পাত্র ব্যবহার করাঃ- ওলান থেকে দুধ দোহনের সময় বালতির পরিবর্তে গম্বুজ আকৃতির ঢাকনাসহ স্বাস্থ্যসম্মত হাতাওয়ালা বালতি ব্যবহার করা উচিত। দোহনের পরিস্কার পাত্র ব্যবহার করতে হুবে। (৫) গাভীকে মশামাছি মুক্তরাখাঃ দুগ্ধ দোহনের সময় মশা মাছি যেন গাভী বিরুক্তি না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে (৬) গাভীকে উদ্দীপিত করাঃ বাছুরের দ্বারা গাভীর বাঁট চুষিয়ে অথবা গোয়ালা কর্তৃক ওলান ম্যাসেস করে গাভীকে দুধ দোহনের জন্য উদ্দীপিত করতে হবে। (৭) দোহনের সময় গাভীকে খাওয়ানোঃ দোহনের সময় গাভীকে ব্যস্ত রাখার জন্য অল্প পরিমান দানাদার খাদ্য বা সবুজ ঘাস গাভীর সামনে দেওয়া উচিত। এতে গাভী খাবারে ব্যস্ত থাকবে এবং দুধ দোহনে সহজ হবে।