Loading..

প্রকাশনা

০৯ জুন, ২০২০ ০৩:৫৪ অপরাহ্ণ

ফিলিপাইনের ডায়েরি

ফিলিপাইনের ডায়েরি (পর্ব-১)

পাসপোর্ট কাণ্ড

২০১৭ সালের আগস্ট মাসে চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হলাম।  জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ার আগেও জানতাম না যে, যারা জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক শিক্ষিকা নির্বাচিত হন তাদের সরকারি খরচে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা সফরে পাঠানো হয়। আমার জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হওয়াটা ছিল চাকুরি জীবনের অল্প সময়ে শ্রেষ্ঠ পাওয়া। পাঁচ বছরে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হওয়াটা ছিল বিরল ব্যাপার।  প্রাইমারি ডিপার্টমেন্টে এতো অল্প সময়ে কেউ এমন সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন কিনা আমার জানা নেই। আমি মনে করি আমার বাবা-মায়ের দোয়া আর শুভাকাক্সক্ষীদের অনুপ্রেরণায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।  শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হবার পর পুনরায় নিজের কাজের প্রতি মনোযোগী হয়ে কাজ করতে থাকি।  ২০১৭ শেষ হয়ে ২০১৮ আসলো।  সবাই জিজ্ঞেস করে কবে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা সফরে বিদেশ যাচ্ছি? আমি শুনে হাসতাম।  বলতাম যখন যাবো তখন দেখবেন।  এভাবে দিন কেটে যেতে লাগলো।  ২০১৮ শেষ হয়ে ২০১৯ এর আগমন ঘটল।  ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি হঠাৎ এক দুপুর বেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ইফতেখার স্যার (উপপরিচালক, প্রশিক্ষণ) মোবাইলে কল দিয়ে আমার বিস্তারিত তথ্য নিলেন।  সেসাথে আগে কখনো বিদেশ গিয়েছি কিনা তাও জিজ্ঞেস করলেন।  স্যারের সাথে কথা শেষ করে সানজিদা আজাদকে (শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা-২০১৭) কল দিলাম। জানতে চাইলাম অধিদপ্তর থেকে তাকে কেউ কল দিয়েছেন কিনা।  সেও বলল একই কথা।  মানে তাকেও কল করে তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নিয়েছে।  বুঝতে পারলাম খুব শীঘ্রই বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছি। এরপর থেকে অপেক্ষা।  রমজানের মাঝামাঝি সময়, মানে ২৬ মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জিও জারি হলো।  দেখলাম ২৫ জনের ফিলিপাইনে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা সফরের জন্য আমাকেও মনোনীত করা হয়েছে।

মনে খুশির বন্যা বয়ে গেলো।  কিন্তু পুরো তালিকায় সানজিদার নাম না দেখে কিছুটা মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল।  অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে ঢুকে সবগুলো জিও চেক করে দেখলাম।  অবশেষে জানলাম তাকে অন্য ২৫ জনের দলে মালয়েশিয়া যাবার জন্য মনোনীত করা হয়েছে।  পাশাপাশি চট্টগ্রাম পিটিআইয়ের তৎকালীন সুপারিনটেনডেন্ট কামরুন নাহার ম্যাডামকে মনোনীত করা হয়েছে ভিয়েতনাম সফরের জন্য।  এদিকে, আমার ফিলিপাইন যাবার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১৬ জুন।  মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা।  তবে তেমন তাড়াহুড়ো ছিল না এই ভেবে যে, অফিস থেকে এনওসি নিয়ে তো আগেই পাসপোর্ট করা আছে।  এখন শুধু অধিদপ্তর থেকে কল দিলে চলে যাবো।  এর মধ্যে সানজিদা আর আমার মধ্যে এবাপ্যারে প্রতিদিন কথা হতে থাকে।  একদিন আমি নিজে কামরুন নাহার ম্যাডামকে কল দিলাম।  ম্যাডাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমার পাসপোর্ট আছে কিনা।  আমি বললাম আছে।  ম্যাডাম পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন কোন রঙের পাসপোর্ট? এবার মনে একটু চিন্তায় পড়ে গেলাম।  আমাদের পাসপোর্টের রং তো সবুজ।  তাই বলে ফেললাম সবুজ রঙের।  ম্যাডাম শুনে বললেন, এই পাসপোর্ট হবে না।  অফিসিয়াল পাসপোর্ট লাগবে।  এবার তো রীতিমতো অবাক হলাম! আমার তো অফিসিয়াল পাসপোর্ট নাই।  এদিকে, হাতেও সময় বেশি নাই।  ৯ তারিখ রাতেই ঢাকা থেকে ফিলিপাইনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হবে। তাড়াতাড়ি সানজিদাকে কল দিলাম। তারও একই অবস্থা।  মানে সাধারণ পাসপোর্ট আছে।  ওইদিনই সিদ্ধান্ত নিলাম কামরুন নাহার ম্যাডামের সাথে পরদিন চট্টগ্রাম পিটিআইয়ে দেখা করবো।  কারণ ম্যাডামের এব্যাপারে শতভাগ সহযোগিতা পাবো এই বিশ^াস আমাদের ছিল।  পরদিন আমি আর সানজিদা চট্টগ্রাম পিটিআইয়ে ম্যাডামের সাথে দেখা করতে গেলাম।  এর আগে ম্যাডাম বিভিন্ন জায়গায় পাসপোর্টের ব্যাপারে কথা বলেছিলেন।  ম্যাডামের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলাম দু’একদিনের মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবো।  তখন আমাদের হাতে সময় ছিলো পাঁচদিন।  কারণ এরপর ঈদুল ফিতরের ছুটি।  অফিস বন্ধ হবার আগেই পাসপোর্ট হাতে পেতে হবে।  তা না হলে আমাদের যাওয়াটা অনিশ্চিয়তায় পড়ে যাবে।  কারণ কেউ এব্যাপারে সঠিক তথ্য দিতে পারছিলেন না।  তাছাড়া তেমন কারো সাথেও আমার পরিচয় ছিল না।  যারা পাসপোর্টের ব্যাপারে কল দিয়েছেন তাদের সাথেই যোগাযোগ করতে থাকি।  ট্র্যাভেল এজেন্সির জুবায়ের নামে এক ভদ্রলোক এব্যাপারে আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন।

আমি আর কামরুন নাহার ম্যাডাম গেলাম চট্টগ্রামের পাঁচলাইশস্থ পাসপোর্ট অফিসে।  সানজিদা গিয়েছিল মনসুরাবাদের বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে।  আমরা সরাসরি আবেদন নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালকের কক্ষে চলে গেলাম।  ওনি আমাদের জিও’র তারিখ দেখে বললেন,যদি পাসপোর্ট পেতে হয় তাহলে আমাদের ঢাকা গিয়ে পাসপোর্ট নিতে হবে।  এদিকে, সানজিদার পাসপোর্টের ব্যাপারে কোন সুরহা তখনও হয়নি।  শেষে আমার পরিচিত বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা জাবেদ ভাইয়ের মোবাইল নম্বরটা তাকে দিয়ে ওনার সাথে যোগাযোগ করতে বললাম।  পরদিন আমার কথা মতো সানজিদা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে জাবেদ ভাইয়ের মাধ্যমে তার পাসপোর্টের আবেদন জমা করেছিল। এবার ঢাকা যাবার পালা।  হাতে সময় আছে মাত্র দু’দিন।  কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ঈদের ছুটিতে সবাই ঘরমুখি।  এসময় বাস-কিংবা ট্রেনের টিকিট পাওয়া দুষ্কর।  তবুও আল্লাহ সহায় থাকলে সবই হয়। দৈনিক পূর্বকোণের চিফ রিপোর্টার নওশের আলী খান ভাইয়ের শরণাপন্ন হলাম ট্রেনের টিকিটের জন্য।  নওশের ভাই আসা-যাওয়ার টিকিটের ব্যবস্থা করে দিলেন।  জুনের ২ তারিখ রাতের ট্রেনেই আমরা ঢাকা রওনা হবো।  ওইদিন ছিল আমার জন্মদিন।  পাসপোর্টের টেনশনে জন্মদিনের কথা অনেকটা মাথায় ছিলনা।  কিন্তু রেলস্টেশনে গিয়ে বড় সারপ্রাইজটা পেলাম।  সানজিদা এবং তার হাজব্যান্ড আসার সময় আমার জন্মদিন পালনের জন্য কেক আর মিষ্টি নিয়ে হাজির।  অবাক হয়ে গেলাম তাদের আয়োজন দেখে।  রীতিমতো আমাকে অবাক করে দিয়ে ট্রেনেই হয়ে গেলো জন্মদিনের পার্টি। দুলাভাই (সানজিদার স্বামী) আমাদের বিদায় দিয়ে ট্রেন থেকে নেমে গেলেন।  ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটতে লাগলো।  এর মধ্যে আমি, সানজিদা আর কামরুন নাহার ম্যাডামের আড্ডা জমে উঠেছে।  রমজান মাস হওয়ায় কামরুন নাহার ম্যাডাম বাসা থেকে আমরা তিনজনের জন্য সেহেরি নিয়ে এসেছিলেন। অবশ্যই সেটা আগে থেকেই ম্যাডাম আমাদের বলে রেখেছিলেন।  সারারাত ট্রেন জার্নি শেষে ভোরে আমরা বিমান বন্দর রেলস্টেশনে নামলাম।  ঢাকায় তখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।  বৃষ্টির মধ্যে কোথাও যাওয়ার সুযোগও নেই।  তিনজনের চোখে তখন রাজ্যের ঘুম আর শরীরে ক্লান্তি।

ওয়েটিং রুমে ঢুকেই মনটা খারাপ হয়ে গেল।  ওখানকার পরিবেশ দেখে মনে হলো কোন বস্তিতে ঢুকেছি।  বিশ্রী অবস্থা! মশার কামড় খেয়ে আর বখাটেদের উৎপাতে কোন মতে সকাল ৮টা বাজালাম। এবার স্টেশন থেকে বের হয়ে সিএনজি নিলাম ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে  যেতে। ওখানে পৌঁছে দেখলাম মানুষের জ্যাম।  আমাদেও মতো আরো অনেক শিক্ষক সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন।  আমরাও একটা লাইনে দাঁড়িয়ে কোন মতে ভেতরে প্রবেশ করলাম।  কিন্তু যেখানেই যাই কেউ কোন সঠিক তথ্য দিতে পারে না। পরে একজন বললেন পাশের বিল্ডিংয়ে যেতে।  ভদ্রলোকের কথা মতো পাশের বিল্ডিংয়ে গিয়ে যিনি প্রধান তার সাথে আমরা যোগাযোগ করলাম। ওনি আমাদের কাগজপত্র দেখে স্বাক্ষর করে পাঠিয়ে দিলেন যেখানে পাসপোর্ট প্রিন্ট সেই রুমের সামনে। এবার অপেক্ষা কখন সেই অধরা অফিসিয়াল পাসপোর্ট হাতে পাবো।  ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যায়। কিন্তু পাসপোর্টের কোন খবর নাই। কয়েক ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর ভেতর থেকে সেনাবাহিনীর একজন এসে বললেন, আমার আর কামরুন নাহার ম্যাডামের পাসপোর্ট চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আর সানজিদার পাসপোর্ট প্রিন্ট হচ্ছে। এখন কি হবে! পাসপোর্ট যদি আজকে হাতে না পাই তাহলে তো সব শেষ।  নিরুপায় হয়ে আমাদের বোয়ালখালীর কৃতি সন্তান তৎকালীন বাংলা টিভির ব্যুরো চিফ লোকমান ভাইকে কল দিয়ে ওনার সাহায্য চাইলাম।  ওনি সাথে সাথে পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালককে কল দিয়ে সব খুলে বললেন।  ওনি একটা আবেদন লিখে পাসপোর্ট নেয়ার জন্য বিশ^স্ত কাউকে পাঠাতে বললেন।  কামরুন নাহার ম্যাডাম সাথে সাথেই ওনার হাজব্যান্ডকে (আঙ্কেলকে) পিটিআইয়ের ফরহাদ ভাইয়ের কাছে যেতে বললেন।  ফরহাদ ভাই আবেদন প্রিন্ট করে আঙ্কেলকে দিলেন।  আঙ্কেল পাসপোর্ট অফিসে গেলেন।  এবার উপপরিচালক বেঁকে বসলেন।  ম্যাডামের পাসপোর্ট ওনার স্বামীকে দিবেন, আমার পাসপোর্ট কিছুতেই আঙ্কেলকে দিবেন না।  পরিস্থিতি এখন ঘোলাটে।  কারণ পরদিন ঢাকা থেকে ফিরে পাসপোর্ট নেয়ার মতো সময় আমাদের হাতে ছিল না।  পুনরায় লোকমান ভাইকে কল দিলাম।  লোকমান ভাই আবার কল দিয়ে অনেক বুঝিয়ে আমার পাসপোর্ট নেয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। আসলে দোষটা উপপরিচালকের ছিল না।  একজনের পাসপোর্ট অন্যজনকে দেয়ার নিয়ম নাই সেটা আমরা জানি। কিন্তু নিরুপায় হয়ে আমাদের পাসপোর্টগুলো এভাবে গ্রহণ করতে হয়েছে।  সেজন্য লোকমান ভাই, আঙ্কেল আর পিটিআইয়ের ফরহাদ ভাইয়ের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।  এদিকে, সানজিদার পাসপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত টেনশন কমছেই না।  কারণ দুজনের পাসপোর্টের সুরহা হয়েছে।  এখন ওরটা না নিলে তো ঢাকা আসাটাই বৃথা হয়ে যাবে।  অবশেষে সানজিদার পাসপোর্ট হাতে আসল।  কিন্তু সমস্যা ঠিকই জিইয়ে রইল।  পাসপোর্টে উপপরিচালকের স্বাক্ষর নিতে হবে চট্টগ্রামের মনসুরাবাদের বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস থেকে।  তার মানে পাসপোর্ট পেয়েও না পাওয়ার মতো অবস্থা। 

ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে বের হয়ে ছুটলাম ঢাকা সেনানিবাসে আমাদের কামরুন নাহার ম্যাডামের ছোটবোনের বাসায়।  ম্যাডামের ছোটবোনের জামাই মেজর সাজ্জাদ সাহেব ঢাকা সেনানিবাসেই থাকেন।  সেনানিবাসে ঢুকে সেখানকার পরিবেশ দেখে সারাদিনের ক্লান্তি মুহূর্তে গায়েব হয়ে গেল।  এত সুন্দর পরিবেশ।  মনে হচ্ছে দেশের ভেতর আরেকটি দেশ।  ম্যাডামের ছোটবোনের বিল্ডিয়ের নাম ছিল গাগরী।  বাসায় ঢুকে সবার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম।  মনে হচ্ছিল সবার সাথে অনেক আগে থেকেই আমাদের পরিচয়।  সবাই একসাথে ইফতার করলাম।  ইফতারের বাহারি রকমের আইটেম দেখে মন জুড়িয়ে গিয়েছিল। ইফতারের পর সবাই মিলে অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম।  এবার রাতের ট্রেনে চট্টগ্রাম ফেরার পালা।  বিদায় নিয়ে উবারে কমলাপুর রেলস্টেশনে আসলাম।  দোকান থেকে সেহেরির জন্য খাবার আর প্রয়োজনীয় জিনিস নিলাম।  পরদিন সকালে চট্টগ্রাম পৌঁছে সরাসরি চট্টগ্রাম পিটিআইয়ে চলে গেলাম।  সেখানেম্যাডামের বাসা থেকে সেই বহু কাক্সিক্ষত অফিসিয়াল পাসপোর্ট নিলাম।  অবশ্য এর আগের দিন আমাদের পাসপোর্ট দু’টি ফরহাদ ভাই স্ক্যান করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মেইলে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।  সানজিদা বাসায় গিয়ে পুনরায় মনসুরাবাদ পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ওর পাসপোর্টে উপপরিচালকের স্বাক্ষর নিয়েছিল।  তবে ওইদিনও তাকে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।  জাবেদ ভাই না হলে আরো ভোগান্তিতে পড়তে হতো।  পাসপোর্ট কাণ্ড'র এভাবে সমাপ্তি হয়েছিল ঠিকই।  কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারলাম আমাদের ট্যুরের সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।  মানে আমরা ৯ তারিখ যাচ্ছি না।  পরে শিডিউল ঠিক হলে আমাদের জানানো হবে বলে অধিদপ্তর থেকে বলা হলো।  এটা শোনার পর তো মেজাজ আর ঠিক থাকে না।  কারণ সময় মতো মেসেজটা দিলে আমাদের এতোটা ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।  ঈদের পরে পাসপোর্ট নিতে পারতাম।  আর ঢাকা যেতে হতো না। এরপরও সান্ত¡না ছিল একটাই অফিসিয়াল পাসপোর্টটা তো পেলাম।  তা না হলে উৎকণ্ঠায় থাকতে হতো।  অল্প সময় হওয়ার কারণে সারাদেশের অনেকেই অফিসিয়াল পাসপোর্ট করাতে পারেননি।  তাই কর্তৃপক্ষ যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করেছিলেন।  এরপরও শেষ ভালো যার সব ভালো তার।  আমাদের একটু কষ্ট হলেও অনেকটা নিশ্চিন্তে পরবর্তী তারিখের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।(চলবে)

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি