Loading..

প্রকাশনা

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈদ ও কোরবানী <><><><>
ঈদ ও কোরবানী ************ <><><><><><>< সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা আচ্ছালামু আলাইকুম। আসছে আগামী ৬ অক্টোবর পবিত্র ঈদুল আযহা। এই দিনে ছাহেবে নেসাবের উপর কোরবানি ওয়াজিব ‌‌‌।তার জন্য এ দিনে কুরবানিই হলো বড় ইবাদত। তাই এই কুরবানি শুদ্ধির জন্য চাই সহি নিয়াত এবং মহব্বত ও চোখে ধরা মোটা-তাজা আকর্ষনীয় পশু। যারা পশু ক্রয়ের নিয়ত করেছেন তারা অবশ্যই নিচে উল্লেখিত ত্রুটিপূর্ণ পশুগুলো ক্রয় করিবেন না। ___________________________________________________________________________ ১। চর্ম রোগগ্রস্ত পশু। ২।দুর্বল পশু।কেননা দুর্বল পশু দ্বারা কোরবানী করা মাকরুহ। ৩।যে পশুর তিনভাগের এক ভাগের ও বেশি কান কেটে গিয়েছে। ৪।যে পশুর দাঁত সম্পুর্ণ পড়ে গিয়েছে। ৫।যে পশুর লেজ তিনভাগের একভাগের ও বেশি নষ্ট হয়ে গেছে। ৬।যে পশুর পা এমন ভাবে ভেঙ্গে গেছে যে সোজা হয়ে হাটতে অক্ষম। ৭।যে পশুর চোখের দৃষ্টিশক্তি এতই কম যে,ঘাস ইত্যাদি দেখতে পারে না। ৮।গরু-মহিষ দুই বছরের কম হলে। ৯।ছাগল,ভেড়া,দুম্বা এক বছরের কম হলে। মনে রাখবেন মাংস বা গোস্ত খাওয়ার নয়তে কোরবানি নয়। বরং আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য প্রিয় বস্তু কোরবানি করা। কোরবানির ফজিলতঃ **************** ১।কোরবানি কৃত পশুর প্রথম রক্তের ফোটা মাটিতে পড়ার আগে আল্লাহর দরবারে কবুল হয় যায়। ২।কোরবানিকৃত পশুর শরীরে যতগুলো লোম/পশম আছে প্রতিটির পরিবর্তেএক একটি নেকি/সওয়াব লেখা হবে। ৩।কোরবানির দিন যে সমস্ত পশু কোরবানি করা হয়-হাসরের মাঠে সে পশুগুলো স্বীয় কোরবানি দাতাকে নিজের পিঠে বহন করে পুলসিরাত পার করাবেন। মাসআলাঃ ******** ১.যদি শরিক কৃত পশুর গোস্ত যদি ৭ জনের এক জনও গোস্ত খাওয়ার নিয়ত করে তাহলে সকলের কোরবানি দুরস্ত হবে না। ২.সাত জনের কাউকে যদি সামান্য গোস্ত কম দেয়া হয় তাহলে সকলের কোরবানি দুরস্ত হবে না। এ জন্য পাল্লা দিয়ে সমান ভাগ করে নেয়া উত্তম। ৩.কোরবানির গোস্ত তিন ভাগের ১ ভাগ নিজে ১ ভাগ আত্নিয়-সজন এবং ১ ভাগ অভাবী প্রতিবেশীদের কে দিতে হবে। উল্লেখ্য যে,নিজের পরিবারের লোকসংখ্যা বেশী হলে আত্নিয় সজনের ভাগ থেকে নেয়া যাবে কিন্তু দরিদ্র,অভাবিদের থেকে নেয়া যাবে না। ৪.যারা গোস্ত তৈরী করতে সহযোগিতা করে এবং পশু জবাই করে দেয় তাদের কে অবশ্যই পারিশ্রমিক দিতে হবে।গোস্ত দিয়ে ওয়াশিল করা যাবে না। ৫.কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির টাকা দিয়ে মসজিদ,মাদ্রাসা,পুল,মক্তব,রাস্তা ইত্যাদি নির্মান কাজে ব্যায় করা যাবে না। মসজিদের ঈমাম,মাদ্রাসা-মক্তবের শিক্ষকের বেতনাদি দিলেও কোরবানি শুদ্ধ হবে না। কোরবানির পশু জবেহের দোয়াঃ ************************* আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়া ইলাইকা ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহ্ইয়া ইয়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল্ আ’লামীন।লাশাঈকা লাহু ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা আউয়্যালুল মুসলিমিন।আল্লাহুম্মা তাক্বাব্বাল হাযা মিন্ --------(কোরবানি দাতার নাম) ইবনে -------(কোরবানি দাতার পিতার নাম) বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। বিঃদ্রঃ-উল্লেখিত লেখা বা আলোচনা গুলো আমার ব্যক্তিগত কথা নয়।কোরআন ও হাদিসের কথা।তাই যেহেতু কোরবানি হলো আল্লাহকে রাজি-খুশি করা।সেহেতু সন্দেহ মুক্ত কোরবানি করাই ভালো। <><><><><><><><><><><><>

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি