Loading..

ম্যাগাজিন

১৬ জুলাই, ২০২০ ০২:৪২ অপরাহ্ণ

জামালপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাংশের অঞ্চল। ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চলে ।

জামালপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাংশের অঞ্চল। ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চলে । পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। বিশেষ করে কৃষি পণ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। এটি রেল পথে জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, এবং বাহাদুরাবাদ ঘাট ও ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, এবং মেঘালয় (ভারত) এর সঙ্গে রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত। ভারত থেকে আমদানিকৃত পন্য ও রপ্তানির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হল জামালপুর।দেশের সবথেকে বড় সার কারখানা এখানেই রয়েছে। উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য ও গারো পাহাড়, কুড়িগ্রাম জেলা, পূর্বে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা এবং পশ্চিমে যমুনা নদীর তীরবতী সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলা। ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, দিল্লির সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে হযরত শাহ জামাল (রহ.) নামে একজন ধর্মপ্রচারক ইয়েমেন থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ২০০ জন অনুসারী নিয়ে এ অঞ্চলে এসেছিলেন। পরবর্তীতে ধর্মীয় নেতা হিসাবে তিনি দ্রুত প্রাধান্য বিস্তার লাভ করেন। ধারণা করা হয়, শাহ জামাল-এর নামানুসারে এই শহরের নামকরণ হয় জামালপুর। ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর জামালপুর হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। ১৯৭৮ সালে ২৬ ডিসেম্বর জামালপুরকে বাংলাদেশের ২০ তম জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জনসংখ্যা ২১০৭২০৯জন এর মধ্যেপুরুষ ১০৭৫৬জন, মহিলা ১০৩১৫১৫জন। মুসলিম , হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান , এবং অন্যান্য গারো, বংশী, হাজং, হদি, কুরমি ও মাল প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩১.৮ % এর মধ্যে পুরুষ ৩৫.৪% এবং মহিলা ২৮.০% । জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি । জামালপুর জেলা ৭টি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত; এগুলো হলোঃইসলামপুর,জামালপুর সদর,দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ,মাদারগঞ্জ,মেলান্দহ এবংসরিষাবাড়ি। লোকসংস্কৃতি এ জেলায় গুনাইবিবির গান, খায়রুনের জারি, রূপভানের পালাগান, পাঁচালী, ঘেটু গান এবং বিয়ে, গায়ে হলুদ উপলক্ষে মেয়েলি গান প্রভৃতির প্রচলন রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ষাড়ের লড়াই, ঘোড়দৌড়, মইদৌড়, লাঠিখেলা ইত্যাদি প্রতিযোগিতামূলক খেলার এবং বর্ষাকালে যমুনা নদীতে নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়। জেলার গারো সম্প্রদায় ‘বিগান গালা উৎসব’ উপলক্ষে নৃত্যগীত পরিবেশন করে। লোকসংস্কৃতি এ জেলায় গুনাইবিবির গান, খায়রুনের জারি, রূপভানের পালাগান, পাঁচালী, ঘেটু গান এবং বিয়ে, গায়ে হলুদ উপলক্ষে মেয়েলি গান প্রভৃতির প্রচলন রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ষাড়ের লড়াই, ঘোড়দৌড়, মইদৌড়, লাঠিখেলা ইত্যাদি প্রতিযোগিতামূলক খেলার এবং বর্ষাকালে যমুনা নদীতে নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়। জেলার গারো সম্প্রদায় ‘বিগান গালা উৎসব’ উপলক্ষে নৃত্যগীত পরিবেশন করে। দর্শণীয় স্থান ফুলকোচা ও মহিরামকুলে অবস্থিত জমিদারদের কাচারি ও দিঘি , তারতাপাড়া গ্রামের বিলুপ্তপ্রায় নীলকুঠি , নরপাড়া দূর্গ, রাধানাথ জিউর মন্দির, নান্দিনার শোলাকুড়ি পাহাড়, শ্রীপুরের রানীপুকুর দিঘি, চন্দ্রার হরিশচন্দ্রের দিঘি , প্রদ্যোৎঠাকুরের কুঠিবাড়ি , গারো পাহাড় । মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকবাহিনী জামালপুরে ব্যাপক গণহত্যা চালায়। ২১ জুন পাকবাহিনী ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত শ্মশান ঘাটে প্রায় ৯ জনকে হত্যা করে। সরিষাবাড়িতে স্থানীয় জনগণ কয়েকজন রাজাকারকে হত্যা করলে পাকবাহিনী সেখানকার ৬ জনকে হত্যা করে ও গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় এবং পরবর্তীকালে পাকসেনারা বয়সিং গ্রামের আরও ১৭ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধারা বকশীগঞ্জের কামালপুর ঘাঁটি আক্রমণ করলে পাকবাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, এ যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন মমতাজ, আহাদুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদসহ ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৪ নভেম্বর পাকবাহিনীর গোলার আঘাতে ক্যাপ্টেন আবু তাহের গুরুতর আহত হন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ৩৩টি স্মৃতিস্তম্ভ ৪টিবধ্যভূমি ১ টি।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি