Loading..

প্রকাশনা

৩০ জুলাই, ২০২০ ০১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

অন-লাইন না অফ-লাইন শিক্ষা

আজ থেকে কয়েকমাস আগেও কেউ ভাবেনি আমাদের পড়ালেখার প্রেক্ষাপট এতো টা বদলে যাবে। আমাদের ব্ল্যাকবোর্ড আর ওয়াইট বোর্ড চুপিসারে পড়ে থাকবে। কিছুদিন আগেও স্কুলের প্রাঙ্গণ  গুলো মূখরিত ছিল উৎসবের আয়োজনে সেখানে আজ নিরবতা। আমি কেবল স্কুল প্রতিষ্ঠানের কথা কেন বলছি? বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আজ থমকে গেছে। মানুষ আজ আনন্দ করতেও ভাবে। আমাদের দেশে ছোট বেলা থেকেই আমরা মা-র কাছে বসে পড়া শিখে অভ্যস্থ । সময়ের সাথে সাথে সেই জায়গায় আসেন শিক্ষক। শিক্ষকের কথা বলা, উনার সানিধ্য নিয়ে আমাদের ছাত্র জীবন শুরু হয়। শিক্ষকদের চেহেরা দেখে আমাদের পড়া শিখা। আমরা এমন একটা জীবনে অভ্যস্থ হয়ে যাই নিজের প্রতষ্ঠানের শিক্ষক কিছু বললে বা শাসন করলে আমরা তাকে বেশি গুরুত্ব দেই, কিন্তু তার চেয়ে ভালো কিছু অন্য স্কুলের কেউ বললে আমরা তা মেনে নিতে পারি না। বলা যায় এইটা একটা বাচ্চাদের সাইকোলজি। কেন? এর উত্তর আমার কাছে স্পষ্ট না, হয়তো একদিন হবে। অনলাইন পড়া কি ? কি পার্থক্য অফলাইন পড়ার সাথে? আমি অনলাইন পড়ানোর সাথে বেশ কিছুদিন ধরে যুক্ত আছি। অনলাইন পড়াতে যে সমস্যা আমি অনুভব করি তা হলো উত্তর না আসা, যাকে পড়াছি সে কি আমার মতই ভাবছে ? কি ধরণের শিক্ষার্থী ক্লাস করছে আমার সাথে ? আমার চিরচেনা ক্লাসে আমি জানি , কে কে ক্লাসে কম বুঝে আর কে কে ক্লাসে আগে বুঝবে। আমি তাদের কে অন্য কাজে ব্যস্ত রেখে ক্লাস করি। কিন্তু এখানে যে ভালো বুঝবে তার আমার ক্লাস বিরক্ত লাগবে। তার মনে হয়ে এই শিক্ষক এতো কেন বুঝাচ্ছে? বিরক্তি থেকে সে আমার ক্লাস বিমুখ হবে। আমরা খুব ভালো করে জানি উন্নত দেশের মত আমরা আমাদের বাচ্চাদের মোবাইল ব্যবহার করতে দেই না। এমন কি মোবাইল ব্যবহারের জন্য তাদের অনেক অভিভাবক শাস্তিও দেয়। কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল আনলে শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে টিসি দেয়া হয়। আর আজ সেইখানে শিক্ষা মবাইল নির্ভর। এখন হঠাৎ করে শিক্ষার্থী কে মোবাইল কিনে দেয়া অভিভাবকের পক্ষে সম্ভব না, ফলে অনেক শিক্ষার্থী আজ পিছিয়ে পড়ছে। অন্যদিকে অনেক শিক্ষার্থী অভিভাবকের মোবাইল ব্যবহার করে ক্লাস করছে। দেখাযাচ্ছে সেই অভিভাবক বাসায় ফিরে নিজের প্রয়োজনে আর মোবাইল পাচ্ছে না , কেননা তার সন্তান তখন ক্লাস করছে। আরেকটা সমস্যা যা তৈরি হতে পারে তা হলো অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার তাদের চোখের ক্ষতি হয় এবং তা আসক্তিতে রূপান্তর হতে পারে। ক্লাসের জন্য যদি একটা বাচ্চার কাছে রাতে মোবাইল থাকে তাহলে সে কি পড়বে না কি অন্য ব্যবহার করবে? প্রশ্নটা আসলেই চিন্তার। প্রযুক্তির সাথে যত তাড়াতাড়ি আমরা খাপ মিলাতে পারি না, বাচ্চারা আরও তাড়াতাড়ি পারে। তবে সবকিছুর পরে এইটা ভালো কথা , আর যাই হোক আমরা যেখানে কোন চিন্তার বাইরে গিয়ে আজ সহজে অনলাইনে ক্লাস দিতে অভ্যস্থ হয়ে গেছি। এই পরিবর্তন আমরা খুব সহজে মেনে নিয়েছি। যদিও এমন কোন প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ আমাদের নেই তাও আমরা অন্যান প্রশিক্ষন কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে। আমাদের কাছে আমাদের শিক্ষার্থীরাই মূখ্য ছিল,তাই হয়তো শিক্ষক সমাজ পরিবর্তন কে আলিঙ্গল করেছে।আ

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি