Loading..

প্রকাশনা

০১ আগস্ট, ২০২০ ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

'অন্যায়ের প্রশ্রয়' সম্পা রানী দাশ,সহকারী শিক্ষক,সাতকরাকান্দি সপ্রবি,বড়লেখা,মৌলভীবাজার।

অন্যায়ের প্রশ্রয়’

সম্পা রানী দাশ

সহকারী শিক্ষক

সাতকরাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,

বড়লেখা,মৌলভীবাজার।

এক ছিলো এক ছেলে। ছোটবেলা থেকেই সে তার মা’কে হারিয়েছিল।ফলে সে তার মাসির কাছে বড় হয়েছিল। মা নেই বলে কেউ তাকে তিরস্কার করতো না। মাসি তাকে খুবই ভালোবাসতো। সে একদিন বন্ধুর কাছ থেকে একটি ভালো পেন্সিল চুরি করে মাসিকে দেখালো। মাসি ছেলেটিকে তিরষ্কার না করে প্রশংসা করতে লাগলো। আরেক দিন ছেলেটি এক বন্ধুর কাছ থেকে একটি ঘড়ি চুরি করে মাসি’কে দেখালো। মাসি আবার তাকে তিরষ্কার না করে প্রশংসা করতে লাগলো। ফলে ছেলেটি বড় হয়ে বড় বড় জিনিস চুরি করতে লাগল।  একদিন ছেলেটি আদালতে ধরা পড়লো। আদালতে তার প্রাণ -দন্ডের আদেশ করা হলো।  তখন তার মাসি বুক চাঁপড়ে কাঁদছিল। বিচারক বললেন, তোমার শেষ ইচ্ছে কী তা বলো। ছেলেটি বললো আমার শেষ ইচ্ছে আমি মাসির কানে কিছু বলব। অনুমতি মিললো ।ফলে সে মাসির কানে দাঁত দিয়ে কানের লতি ছিঁড়ে ফেললো। তারপর ছেলে বলল আমার প্রাণ -দন্ডের জন্য তুমি দায়ী। ছোটবেলা থেকে আমার কু-অভ্যাস ত্যাগ করলে আমাকে এভাবে মরতে হতোনা।

উপদেশ: ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে শিশুকে ছোটবেলা থেকেই শিখতে হয়।  

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি