Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

রিসেট

০৩ আগস্ট, ২০২০ ১২:৪৪ অপরাহ্ণ

সমযোজী বন্ধন

সমযোজী বন্ধন


সমযোজী বন্ধন (ইংরেজি: Covalent bond) হল এমন এক ধরনের রাসায়নিক বন্ধন যেখানে পরমাণুসমূহ তাদের নিজেদের মধ্যে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে আবদ্ধ থাকে। ইলেকট্রন শেয়ার করা পরমাণুদ্বয়ের মধ্যেকার আকর্ষন ও বিকর্ষনের ফলে যে সুস্থিত ভারসাম্য বল তৈরী হয় তাই সমযোজী বন্ধন। দুটি হাইড্রোজেন পরমাণুর মধ্যে দুটি ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে একটি হাড্রোজেন অণুর (H2) সৃষ্টি সমযোজী বন্ধন হল এমন এক ধরনের রাসায়নিক বন্ধন যেখানে পরমাণুসমূহ তাদের নিজেদের মধ্যে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে আবদ্ধ থাকে। ইলেকট্রন শেয়ার করা পরমাণুদ্বয়ের মধ্যেকার আকর্ষন ও বিকর্ষনের ফলে যে সুস্থিত ভারসাম্য বল তৈরী হয় তাই সমযোজী বন্ধনের সৃষ্টি করে। সমযজী বন্ধন এদের গঠনের ধরন অনুযায়ী পাই-বন্ধন, সিগমা বন্ধন, অ্যাগস্টিক মিথস্ক্রিয়া এবং ত্রিকেন্দ্রীক দ্বিইলেক্ট্রন বন্ধন ইত্যাদী ধরনের হয়ে থাকে। সমযোজী বন্ধন শব্দটির প্রচলন ১৯৩৯ সাল থেকে।

পরমাণুসমুহের মধ্যে সমযোজী বন্ধন তখনই গঠিত হয় যখন এদের তড়িৎ ঋণাত্মকতা সমান বা অতি নিকটবর্তী হয়। শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যদি দুটি পরমাণুর মধ্যে নির্দিষ্ট না থেকে অনেকগুলি পরমানু দ্বারা শেয়ার হয়ে থাকে তখন একে ডিলোকালাইজড ইলেকট্রন বলা হয়।

  সমযোজী বন্ধন গঠনের শর্ত

 ১)সাধারণত দুটি একই বা ভিন্ন ধরণের অধাতব পরমাণুর মধ্যে সমযোজী বন্ধন ঘটে থাকে। ২)বন্ধনে অংশগ্রহণকারী পরমাণু সমসংখ্যক ইলেক্ট্রন যোগান দিয়ে এক বা   একাধিক ইলেক্ট্রন যুগল সৃষ্টি করে যা উভয় পরমাণু সমানভাবে শেয়ার করে।

৩)প্রত্যেক পরমাণুর অবশ্যই অযুগ্ম ইলেক্ট্রন শেয়ারের প্রবণতা থাকতে হবে।

৪)তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান উভয় অধাতুর সমান বা প্রায় সমান হতে হবে।তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য বেশী হলে হবে না।

  সমযোজী বন্ধনের প্রকারভেদঃঃ

 ইলেক্ট্রন শেয়ারের উপর করে সমযোজী বন্ধন তিন প্রকার- একক,দ্বি ও ত্রিবন্ধন।

সমযোজী বন্ধন এর বৈশিষ্ট্য

768X461-640815_6407_28042019.jpg

একটি পাত্রে বিকারে চিনির দ্রবণ নিয়ে ইলেকট্রোড হিসেবে একটি  গ্রাফাইট দণ্ড নেয়। দণ্ডটির সাথে কপার তার ব্যাটারি, টর্চ বাল্ব যুক্ত করি।গ্রাফাইট দণ্ডের পরিবর্তে ধাতব দণ্ড ব্যবহার করা যায়।পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাবে যে দ্রবণের বিদ্যুৎঅপরিবাহী।বিদ্যুৎ পরিবহণের জন্য মুক্ত আয়ন বা ইলেক্ট্রনের উপস্থিতি এবং তাদের চলাচল প্রয়োজন,যা চিনির দ্রবণে হয় না।তাই এটি বিদ্যুৎঅপরিবাহী।অর্থাৎ সমযোজী যৌগ বিদ্যুৎঅপরিবাহী।কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে যেমন -হীরক বিদ্যুৎ অপরিবাহী কিন্তু গ্রাফাইট বিদ্যুৎ পরিবাহী।

সমযোজী বন্ধনের উদাহরণঃ

যেমন ২টি ক্লোরিন (অধাতু) পরমাণুকে যখন কাছাকাছি রাখা হয় তখন তাদের মধ্যে এক ধরনের রাসায়নিক বন্ধন গঠিত হয়ে ক্লোরিন অণুতে পরিণত হয়।

Cl. + Cl.  = Cl..Cl

H2 অণুতে সমযোজী বন্ধনঃ

হাইড্রোজেন পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস হলো, H(১)=1s^2 । দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু যখন কাছাকাছি আসে তখন উভয় একটি করে ইলেকট্রন শেয়ার করে নিস্ক্রিয় গ্যাসের মতো ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে অর্থাৎ সর্বশেষ শক্তিস্তরে ২টি ইলেকট্রন গঠন করে। এর ফলে (H-H) সমযোজী বন্ধন সৃষ্টি হয়।

    H.+H.=H.H
মন্তব্য করুন

সম্পর্কিত পোস্ট