Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

রিসেট

০৩ আগস্ট, ২০২০ ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

ধাতব বন্ধন

ধাতব বন্ধন

একটি ধাতু অপর একটি অধাতুর মধ্যে আয়নিক বন্ধন এবং দুটি অধাতুর মধ্যে সমযোজী বন্ধন গঠিত হয়। কিন্তু দুটি ধাতব পরমাণু কাছাকাছি এলে তাদের মধ্যে যে বন্ধন গঠিত হয় তাকে ধাতব বন্ধন বলে। তোমরা কপার তার, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি দরজা-জানালা, লোহা, জিংক ধাতুর প্রলেপযুক্ত ঢেউটিন, বিভিন্ন ধরনের কৌটা দেখে থাক। এদের পরমাণুগুলো কিন্তু অন্য কোনো মৌলের সাথে বন্ধন গঠন করে না, আবার নিজেদের মধ্যে দ্বিপরমাণুক বা ত্রিপরমাণুুক অবস্থায় থাকে না। স্ব স্ব মৌলের পরমাণুসমূহ একত্রে পাশাপাশি অবস্থান করে। পূর্বেই লক্ষ করেছ সকল ধাতুরই শেষ শক্তিস্তরে কম সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে। পর্যায় সারণির একই পর্যায়ের অন্যান্য মৌলের তুলনায় এই মৌলসমূহের ইলেকট্রন নিউক্লিয়াস থেকে দূরে থাকার কারণে নিউক্লিয়াসের সাথে ইলেকট্রনের আকর্ষণবল কম থাকে। তাই ধাতব কেলাসে এই ইলেকট্রনগুলো পরমাণুর কক্ষপথ থেকে বের হয়ে সমগ্র ধাতবখণ্ডে মুক্তভাবে চলাচল করে। বিমুক্ত ইলেকট্রনগুলো কোনো নির্দিষ্ট পরমাণুর অধীনে থাকে না। বরঞ্চ সমগ্র ধাতব খণ্ডের হয়ে যায়। ইলেকট্রন হারিয়ে ধাতুর পরমাণুগুলো আয়নে পরিণত হয়ে এক ত্রিমাত্রিক কেলাসে অবস্থান করে। এক ইলেকট্রন সাগরে ধাতব আয়নগুলো নিমজ্জিত আছে বলে মনে করা হয়। এই সঞ্চরণশীল ইলেকট্রনের কারণে ধাতবখণ্ডে উচ্চ তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহিতা, নমনীয়তা, ঘাতসহতা প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যের সৃষ্টি হয়।

 

ধাতব পরমাণুসমূহ যে আকর্ষণবল দ্বারা পরস্পরের সাথে আবদ্ধ থাকে তাকে ধাতব বন্ধন বলে ।


ধাতুর বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণ:

সব ধাতুই বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। যেহেতু ধাতব কেলাসের অভ্যন্তরী ইলেকট্রনসমূহ স্বাধীনভাবে চলাচল করে, সেহেতু বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের প্রভাবে বা ধাতব খণ্ডকে ব্যাটারির সাথে যুক্ত করে বর্তনী পূর্ণ করলে সহজেই বর্তনীর ঋণাত্মক প্রান্ত থেকে মুক্ত ইলেকট্রনসমূহ ধনাত্মক প্রান্তের দিকে চলাচল করে এবং এভাবেই বিদ্যুৎ পরিবহণ করে। উপরের চিত্রটি ভালোভাবে লক্ষ করলেই তা তোমরা বুঝতে পারবে।

মন্তব্য করুন

সম্পর্কিত পোস্ট