![img](https://teachers.gov.bd/shared/profile_pictures/ddw5VvMgYWatLhElAu74Fq8ktQyd5sN3DxMSRVih.jpeg)
সহকারী শিক্ষক
![](https://teachers.gov.bd/shared/contents/2020/August/4/photo/image_36453_1596562729.jpg)
০৪ আগস্ট, ২০২০ ১১:৩৮ অপরাহ্ণ
সহকারী শিক্ষক
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: দশম
বিষয়: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা
অধ্যায়: অষ্টম অধ্যায়
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর
বিহার। বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল
দেব (৭৮১-৮২১) অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করেছিলেন। ১৮৭৯
খ্রিস্টাব্দে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই
বিশাল স্থাপনা আবিষ্কার করেন।
পাহাড়পুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা যেতে
পারে। আয়তনে এর সাথে ভারতের নালন্দা মহাবিহারের তুলনা
হতে পারে। এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্ম শিক্ষাদান কেন্দ্র ছিল। শুধু
উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয়, বরং চীন, মায়ানমার সহ অনেক দেশ থেকে বৌদ্ধরা
এখানে ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন। খ্রিস্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলেন অতীশ
দীপঙ্ক শ্রীজ্ঞান। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানে
স্বীকৃতি প্রদান করে।
নওগাঁ জেলার বদলগাছি
উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত এই পুরাকীর্তিটি। অপরদিকে জয়পুরহাট জেলার
জামালগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে এর দূরত্ব পশ্চিম দিকে মাত্র ৫ কিলোমিটার।