সিনিয়র শিক্ষক
১৪ আগস্ট, ২০২০ ১০:০১ পূর্বাহ্ণ
শ্রেণি আলিম ১ম বর্ষ, বিষয়- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অধ্যায় ১, বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
ধরন: মাদ্রাসা শিক্ষা
শ্রেণি: একাদশ
বিষয়: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়: প্রথম অধ্যায়
চাকরি
এবং ব্যবসা ছাড়াও এখনকার সময়ে, একটি নতুন ক্যারিয়ার অপসন (career option) অনেকেই
বেঁছে নিচ্ছেন এবং সেটা হলো “আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার”
ভালো করে ক্যারিয়ার যদি
তৈরি করতে পারেন, তাহলে আউটসোর্সিং দ্বারা ইনকাম প্রচুর
অর্থ উপার্জন সম্ভব।
আউটসোর্সিং বলতে
কোন একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়াকে
বুঝায়. "আউটসোর্সিং" এর ধারনাটি এসেছে আমেরিকান শব্দ 'outside
resourcing'' থেকে এবং এটি আমাদেরকে কমপক্ষে আশির দশকে ফিরিয়ে নিয়ে
যাবে। আউটসোর্সিং বলতে কখনো কখনো এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মী
হস্তান্তর করাকেও বুঝায়, কিন্তু সব সময় না। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে সরকারি
কাজ সমুহকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিদেশি এবং দেশি ঠিকাদারি উভয়ই আউটসোর্সিং এর অন্তর্গত এবং কখনো
আউটসোর্সিং এ দূরবর্তী দেশে নিজের প্রতিষ্ঠান স্থাপন (সমুদ্রবর্তী) অথবা পাশাপাশি
কোন দেশে প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও অন্তর্ভুক্ত থাকে। অনেক মানুষ আউটসোর্সিং এবং
দূরবর্তী দেশে প্রতিষ্ঠান স্থাপন কে গুলিয়ে ফেলেন – তবে তারা ভিন্ন।
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়। কারণ এতে স্থানীয়
শ্রমিকদের চাইতে কম বেতন প্রদান করতে হয়। এটি আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে একটি
বড় অনুপ্রেরণা।
বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া,
ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন প্রভৃতি দেশে আউটসোর্সিং এর কাজ করা হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বে আউটসোর্সিং তালিকায় বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে।
এখানে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ কাজ করেন
মাসিক আয়ের ভিত্তিতে।
“আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার” এর সুবিধা ঃ
১। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য কর্ম
সংস্থান করা সম্ভব।
২। আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে কর্মদাতাকে কোনো অফিস নেবার প্রয়োজন পড়ে
না। ফলে অবকাঠামো বিভিন্ন সুবিধা যেমন, কর্মীর বসার সংস্থান, উন্নত মানের
কম্পিউটার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের কোনো প্রয়োজন পড়ে না। এতে খরচ বেচে
যায়।
৩। ২৪ ঘন্টা আউটসোর্সিং এর কাজ করা যায়।
৪। অল্প সময়ে অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা যায়।
৫।বেশিরভাগ সময় কর্মগুলি ক্ষেত্র বিশেষে বিশেষত বিক্রেতাদের কাছে আউটসোর্স করা হয়। আউটসোর্সিং বিক্রেতাদের নির্দিষ্ট সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতাও রয়েছে, আউটসোর্সিং সংস্থার চেয়ে বেশিরভাগ সময় ভাল। কার্যকরভাবে কার্যগুলি দ্রুত এবং আরও ভাল মানের আউটপুট সহ সম্পন্ন করা যায়।
প্রযুক্তির মাধ্যমে নানা ধরনের কাজের চাহিদা যেমন
বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে কাজের সুযোগ। এতে করে আমাদের দেশ উন্নতির চরম শিখরে আহোরন করবে
এই বুকভরা আশা নিয়ে শেষ করছি।