Loading..

মুজিব শতবর্ষ

১৫ আগস্ট, ২০২০ ১২:১২ অপরাহ্ণ

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে হারানোর দিন: ‘শোক হোক স্বপ্ন পূরণের শক্তি’

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী, উচ্ছৃঙ্খল সদস্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকেই শুধু হত্যা করেনি, তার পরিবারের ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও রেহাই পায়নি তাদের হাত থেকে।

ইতিহাসের জঘন্যতম সেই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শুধু স্বাধীনতার স্থপতিকেই হারায়নি বাঙালি, দীর্ঘকালের শাসন-শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে জাতীয় জীবনের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল তাও উল্টো পথে যাত্রা শুরু করে।                                                                        ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন অবসানের পর পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্রলীগ গঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় আসেন তিনি।

এরপর বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন ও ছেষট্টির ছয় দফা প্রণয়নে ভূমিকা রেখে এবং ১৯৬৮ সালে তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে ওঠেন।

১৯৬৯ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কারামুক্ত হন শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর তাকে বঙ্গবন্ধু খেতাবে ভূষিত করে ছাত্ররা। ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) স্বাধীনতার ডাক দেন তিনি। তার নেতৃত্বে রক্তাক্ত সংগ্রামেই অভ্যূদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।

স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।                                                                                                                                   তবে তাতে আটকে যায়নি বঙ্গবন্ধুর প্রতি এদেশের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। বরং ঘাতকদের প্রতি প্রকাশ হয়েছে ঘৃণা আর অভিশাপ।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি