Loading..

ভিডিও ক্লাস

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১২:৪৯ অপরাহ্ণ

শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট | Safe Internet for Child |

শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট | Safe Internet for Child |



আমাদের দৈনন্দিন জীবনটাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে ইন্টারনেট। পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। অবসর সময়ে প্রিয়জনের সঙ্গে আড্ডা কিংবা যে কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ইন্টারনেটের বিকল্প নেই। তা সে ল্যাপটপ, ট্যাব, স্মার্টফোন যাই হোক না কেন। এরই একটা মারাত্মক কুফল হিসেবে দেখা দিয়েছে শিশুদের ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তি। ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহারের শিশুদের মেধা-মনন, মানসিক শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে ধীরে ধীরে। যা রীতিমতো চিন্তার বিষয়। অনেক বাসাতেই ছোট বাচ্চাকে ভোলাতে, কান্না থামাতে কিংবা খাওয়ানোর সময়ে বাবা-মাই শিশুর হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেন। বাচ্চাও তৎক্ষণাৎ সব ভুলে একেবারে লক্ষ্মী ছেলে বা মেয়ে হয়ে যায়। পন্থাটা সহজ ঠিকই; কিন্তু সমস্যার বীজ রোপণ হয় এখান থেকেই। এরপর বাচ্চা যতই বড় হয় ওর জেদও বাড়তে থাকে সমানতালে। যে সব বাচ্চা স্মার্টফোন তথা ইন্টারনেটের প্রতি আসক্ত তাদের একটা নামকরণ করা হয়েছে। আর তা হলস্ক্রিনজার এইস্ক্রিনজারবাচ্চাদের জীবন এখন নানারকম হুমকির সম্মুখীন করেছে। এসব বাচ্চারা মাঠে খেলতে যেতে পছন্দ করে না। প্রকৃতির সবুজ রঙ তাদের দৃষ্টি কাড়ে না। সারাক্ষণ ঘরের মধ্যে বসে মোবাইল অথবা ট্যাবে ব্যস্ত থাকে। এতে করে বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে আর দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে। শিশুর ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোকসহ নানা জটিলতা বাড়ায়। শিশুদের ভয়ঙ্কর ইন্টারনেটের আসক্তি কাটানোর জন্য সম্প্রতি একটি গবেষণা চালিয়েছে দ্য জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন। দ্য জার্নাল এর মতে, শিশুর ইন্টারনেট আসক্তি কাটানোর ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। বড়রাই যদি সারাক্ষণ মোবাইলে চ্যাট করেন কিংবা সোশ্যাল সাইটে ব্যস্ত থাকেন তাহলে সন্তানেরও মনে হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য মোবাইল অন্যান্য ডিভাইস শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। শিশুদের প্রচুর সময় দিন, তাদের ঘুরতে নিয়ে যান, গল্পের বই হাতে তুলে দিন, শিশুদের খেলাধুলায় উৎসাহ দিন। আর তাতেই আপনাদের সন্তানরা ভয়ঙ্কর এই ইন্টারনেটের আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারে।