Loading..

মুজিব শতবর্ষ

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৯:২৫ পূর্বাহ্ণ

মুজিব শতবর্ষে শিক্ষা দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করার জোর দাবী শিক্ষক সমাজের।
আজ থেকে ৫৮ বছর আগে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের ১৭ সেপ্টেম্বর শরীফ শিক্ষা কমিশন এর শিক্ষক স্বার্থপরিপন্থী এক রিপোর্টের বিরুদ্ধে তীব্র সংগ্রাম করতে গিয়ে পুরাতন ঢাকার নব কুমার বিদ্যালয়ের ছাত্র বাবুল,গনপরিবহনের কন্ডাক্টর গোলাম মোস্তাফা এবং গৃহকর্মী ওয়াজি উললাহ শহীদ হন। তাঁদের রক্তের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এই মুজিব শতবর্ষে ১৭ সেপ্টেম্বরকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবি শিক্ষক সমাজের। তৎকালীন জান্তা সরকার শিক্ষাকে ধবংস করার জন্য শরীফ শিক্ষা কমিশনকে দিয়ে একটি সংকোচন মূলক গণবিরোধী শিক্ষা রিপোর্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশ করলে ছাত্ররা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। ছাত্ররা এর আগে আইয়ুবখান তথা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছিল।এমন সময় শরীফ শিক্ষা কমিশনের শিক্ষা স্বার্থ পরিপন্থী রিপোর্ট ছিল কাটা গায়ে লবণ মারার অবস্থা অথবা ভীমরুলের চাকে ঢিল মারার মতো অবস্থা। শুরু হয় তীব্র আন্দোলন। এই আন্দোলনে ছাত্র জনতা সবাই অংশগ্রহণ করেছিল। ১৯৬২ এর আন্দোলন সংগ্রাম প্রমাণ করে শিক্ষার আন্দোলন আর গণতন্ত্রের আন্দোলন এক সূত্রে গাঁথা।
৬২’র আন্দোলনে জানা যায় বুড়িগঙ্গার ঐপার থেকে নৌকার মাঝিরা বৈঠা হাতে ঢাকার রাজপথে শিক্ষা বাঁচাতে আন্দোলনে স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছিল। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি বাসাবাড়ির গৃহকর্মীরাও। ফলে বিজয় এসেছিল। এর পর থেকেই ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ইতিহাস থেকে জানা যায়-৪টি ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করেছিল- ১) ৫২সালের ভাষা আন্দোলন, ২)৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৩) ৬৯’র গণ অভ্যুত্থান, ৪) ৭১’র সাধারণ নির্বাচন। দুঃখজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৯ বছরেও শিক্ষা তথা শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর হলোনা। যুগোপযোগী শিক্ষা বাস্তবায়ন হলোনা। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা তথা জাতীয়করণ বাস্তবায়ন হলোনা। দেশের জনগণ শিক্ষার সুফল আজও পেলোনা। তাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিক্ষক সমাজের দাবী এই মুজিব শতবর্ষে অবিলম্বে শিক্ষা দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হউক।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি