Loading..

প্রকাশনা

০৪ জানুয়ারি, ২০১৫ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষকরাও বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভূক্ত : শিক্ষাসচিব
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসির) মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষকরাও বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের স্বীকৃতি পেলেন। ১৭ ডিসেম্বর জারিকৃত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এতে যারপরনাই খুশী হয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মরত সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। মাউশির সহকারি পরিচালক সাখায়েত হোসেন বিশ্বাস ও এস এম আবদুল খালেক দাবী করেন শিক্ষা সচিবের উপস্থিতিতে স্বীকৃতির বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে। যদিও দীর্ঘদিন সরকারি কলেজ শিক্ষকরা অযৌক্তিকভাবে সরকারি স্কুল শিক্ষকদের বঞ্চিত করে আসছেন। বুদ্ধির পরিবর্তে পেশীশক্তির প্রদর্শন আর মাস্তানির আশ্রয় নেন শিক্ষা ক্যাডারের কতিপয় উচ্ছৃংখল কর্মকর্তা। তবে যারা বিনয়ী ও সিনিয়র অধ্যাপক তারা জানেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের দাবীটি যৌক্তিক, আইনগত ভিত্তি রয়েছে। যেমন মনে করতেন, সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দিলারা হাফিজ, নাজিম উদ্দিন, খান হাবিবুর রহমান, মো. নোমান উর রশীদ। পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শতাধিক হাইস্কলের প্রধান শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিগরিরই তারা বি সি এস সাধারণ শিক্ষা (হাইস্কুল) নামে সমিতি করবেন। সরকারি কলেজ শিক্ষকদের তারা আহবান জানান তারা যেন তাদের পরিচয়ে বি সি এস সাধারণ শিক্ষা (কলেজ ) পরিচয়টি উল্লেখ করেন। এতে সাধারণের বুঝতে সুবিধা হবে শিক্ষা ক্যাডারের মধ্যে স্কুল ও কলেজ আলাদা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আইনগতভাবেই সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকরা বি সি এস সাধারণক্যডারভূক্ত। এ নিয়ে কোনও বিতর্কের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাখায়েত বলেন, বর্তমানে মাদ্রাসা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোন আইনবলে বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার দাবী করেন? তিনি তো পিএসপির কোনও পরীক্ষা দেয়নি। সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা পিএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন। অপরদিকে অযৌক্তিকভাবে বিরোধীতা করছেন কর্মকর্তাষ্মন্য শিক্ষা ক্যাডারের কয়েজন শিক্ষক। তারা দাবী করছেন, মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এনামুল কাদের খান অযৌক্তিকভাবে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল করিমের চাকরি স্থায়ীকরণের আদেশে তাকে বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যরা এ বিষয়টি নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মরত কয়েকজন উপ-পরিচালক ও সহকারি পরিচালকের সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হলেও মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিবের সঙ্গে যুক্তিতর্কে যাচ্ছেন না। উল্লেখ্য, শিক্ষা ক্যাডারের কতিপয় কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজেদেরকে প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক নির্যাতিত ও বঞ্চিত হিসেবে দাবী করে থাকেন। আবার ভালো পদায়নের জন্য উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিবদের পদলেহনও করেন গোপণে। যেমন বিএনপি জমানার যুগ্ম-সচিব কলেজ মো. শফিউল্লাহর বিরুদ্ধে কথা বলে ক্যাডারের নবীন সদস্যদের মধ্যে সস্তা জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন সমিতি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত মো. মাসুমে রাব্বানী খান। কিন্তু গোপণে শফিউল্লাহকে স্যার স্যার বলা আর পদলেহন করতেন মন্ত্রণালয়ের কক্ষে । মাসুমে রাব্বানী যখন সমিতির নির্বাচিত মহাসচিব তখন শফিউল্লাহ তাকে ‘এ্যাই ছেলেটি, তুই, ইত্যাদি বলে সম্বোধন করতেন’। মাসুমের শিক্ষা ক্যাডারের স্ত্রীকে ঢাকা থেকে যেন বদলি না করেন তাই মাসুম গোপণে আমলাদের পদলেহন করেন ও করতেন। মাসুমের স্ত্রী বিএনপি জমানায় মাউশির এসিআর শাখায় কাজ করেন। যেমন করে চলছেন, বর্তমান মহাসচিব আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার আর অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর।

আরো দেখুন