Loading..

প্রকাশনা

০৪ জানুয়ারি, ২০১৫ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

`শর্তছাড়াই নতুন পেস্কেলভূক্ত হবেন এমপিওশিক্ষকরা’
কোনও শর্ত ছাড়া এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের একই সময়ে নতুন পেস্কেলভূক্ত হবেন এমপিওভূক্ত ৫ লাখ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। আগামী জুলাই থেকে নতুন পেস্কেল কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা। দেশের একমাত্র জনপ্রিয় ও বস্তুনিষ্ঠ শিক্ষাবিষয়ক অনলাইন সংবাদমাধ্যম দৈনিক শিক্ষাডটকমের সাংবাদিকরা সোমবার শিক্ষামন্ত্রণালয়ের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে বেসরকারি শিক্ষকদের পেস্কেলভূক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্নের জবাবে চৌকস ও সৎ এ কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানের আয় কোষাগারে জমা দেওয়ার শর্তটির একটি ভালো দিক হলো এর মাধ্যমে বেসরকারি হাইস্কুল ও কলেজগুলোর পর্যায়ক্রমে সরকারি হওয়ার পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়া। সে হিসেবে কোষাগারে আয় জমা দেওয়ার শর্ত একটি ভালো সুপারিশ কিন্তু বাস্তবতা হলো মাত্র কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ভালো আয় রয়েছে। শিক্ষকরা বিরোধীতা করছেন তাই এটি বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। তবে, দাবী আদায়ে কর্মসূচির নামে কাজী ফারুক ও সেলিমভূাইয়ারসহ কয়েকজন দুর্নীতিবাজ শিক্ষকনেতার বাড়াবাড়ি প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘এর কোনও দরকার নেই, এগুলো স্টান্ডবাজি’। নেই কাজ তো খই ভাজ দশা এসব শিক্ষকনেতাদের। তিনি বলেন, যারা চৌকস ও দূরদর্শী শিক্ষকনেতা তারা জানেন সরকার পে কমিশনের এ সুপারিশটি বাস্তবায়ন করবেন না। শিক্ষকদের দাবীর বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দরবারে পৌছার সঙ্গে সঙ্গেই নির্দেশ দিবেন শর্তছাড়াই পেস্কেলভূক্ত করার, এমনই মনে করেন এ কর্মকর্তা। যেমনটি হয়েছে ২০০৯ খৃস্টাব্দে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের পে কমিশন শর্ত সাপেক্ষে এবং ৬ মাস দেরিতে এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পেস্কেলভূক্ত করার সুপারিশ করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শিক্ষক কর্মচারীরা। আর এ সুযোগে মাঠে নেমেছেন জামায়াতপন্থী শিক্ষকনেতা দনিয়া একে হাইস্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. সেলিমভূইয়া, দুর্নীতির দায়ে চাকরিহারা ও গত ৬ বছর যাবত নিশ্চুপ থাকা সাবেক শিক্ষকনেতা কাজী ফারুকরা। আর বর্তমান সরকারের আমলে সুবিধাভোগী নেতা অবসরবোর্ডের আসাদুল হক ও কল্যানট্রাস্টের শাহাজাহান আলম সাজুর দৃশ্যমান কোনও ভূমিকা নেই শিক্ষকদের পক্ষে সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার। নজরুল ইসলাম রনি রয়েছেন বিবৃতির দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ। জাত শিক্ষক ও প্রবীন শিক্ষকনেতা অধ্যক্ষ মাজহারুল হান্নান ও মো. আউয়াল সিদ্দিকীও মনে করেন শর্ত ছাড়াই পেস্কেলভূক্তহবেন শিক্ষকরা। সরকারি ঘোষণা শুধুই সময়ের ব্যাপার। তাই গার্মেন্টস শ্রমিকদের মতো কোনও আন্দোলন কর্মসূচি না দিয়ে বরং তাদের দাবীটি সরকারের শীষর্ পর্যায়ে পেশ করা বেশি জরুরী। এ বিষয়ে তারা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবের দৃষ্টি আকষর্ণ করছেন।

আরো দেখুন