Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২২ অক্টোবর, ২০২০ ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

জালিম পিতার জালিম সন্তান।

এক ছিল জমিদার, তার ছিল দুই সন্তান। বড় সন্তান কোনো পড়ালেখা করে নাই।ছোট ছেলে বিলাত গিয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে পড়ালেখা করেছেন। এদিকে জমিদারের বেশ কিছু ভূ- সম্পত্তি ছিল। জমিজমা গুলো অধিক দামে চাষিরদের নিকট লাগিয়াত করতো। পাশাপাশি ছোট ছেলে এগুলো দেখা শুনা করতো। 

সবচেয়ে বড় কথা হলো জজমিদারের একটি বড় দিঘি ছিল। পুরো গ্রামে অন্য কোনো পানির ব্যবস্থা ছিলো না । গ্রাম বাসিকে বাধ্য হয়ে জমিদারের দিঘিতে পানি নিতে আসতে হতো। 

  কিন্ত জমিদার ছিলো জালিম প্রকৃতির।গ্রাম বাসিকে এমনে পানি দিতো না। পানি নিতে হলে জমিদারকে ট্যাক্স দিতে হতো।জমিদার প্রতি কলসি উপর একটি নির্দিষ্ট পরিমান ট্যাক্স বসিয়ে দিলো। 

   অর্থাৎ দিঘি থেকে পানি নিতে হলে জমিদারকে প্রতি কলসি পানির জন্য চার( ৪)   আনা দিতে হতো। গ্রাম বাসি কতো আবেদন করলো কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যায়নি। 

একদিন হঠাৎ জমিদার অসুস্থ হয়ে পড়লো। কিছু দিন শয্যাশায়ী থাকার পর ঐ  জালিম জমিদার মারা গেলেন।গ্রাম বাসি কিছুটা স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেললো এই জন্য যে, হয়তো এতদিন পর  গ্রাম বাসি এই জালিমের হাত থেকে কিছুটা রেহাই পাবে। 

জমিদার মারা যাওয়ার পর ছোট ছেলে বিলাত থেকে দেশে আসছে। ছোট দেশে এসে গ্রাম বাসিকে নিয়ে একটা বৈঠক করলো, কিভাবে এলাকায় তার বাবার নাম রাখা যায়।এক এক জন করে মতামত নেয়া হলো। সবশেষে জমিদারের শিক্ষিত ছোট ছেলেটি বলল,সে তার বাবার নাম রাখার জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করবে। 

জমিদারের শিক্ষিত ছেলের কথা শুনে সবাই খুশি হয়ে যার যার বাড়িতে চলে গেল। এদিকে জমিদারের বড় ছেলে চিন্তা   করছে কিভাবে এই সিদ্বান্ত পাল্টানো যায়।

রাতে খাবার দাবার শেষ করে ছোট ভাইকে বসল। ছোট বুঝালো যে তার দ্বারায় বাবার নাম টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। তুমি আবার বিলাত চলে যাও আমার বাবার নামটা কিভাবে টিকিয়ে রাখা যায় সেটা আমি পরে ভেবে চিন্তে দেখবো। 

 এই ভাবে কয়কদিন পর ছোট ভাইকে বিদায় দিয়ে বিলাত পাঠিয়ে দিলো।জমিদারের বড় ছেলে ঠিক করলো কিভাবে বাবার নামটা রাখা যায়।কয়েকদিন পর এলাকায় মাইকিং করে দেওয়া হলো যে এখন থেকে প্রতি কলসির পানির দাম আট( ৮) আনা।   

তখন এলাকা বাসি চিন্তা করতে লাগলো জমিদারের ছেলেতো জমিদার থেকে আর ও দ্বিগুণ জালিম হলো। শেষ পর্যন্ত জমিদারের ছোট ছেলে জালিমের ছেলে জালিম হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো।                               

অর্থাৎ মূল্যবোধ না থাকার কারণে জমিদারের ছোট এই চিন্তা ধারা মাথায় আসলো।