Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২২ অক্টোবর, ২০২০ ০৪:৪৬ অপরাহ্ণ

দেখে দেখে শিখি, ভুল থেকে যদি ভাল কিছু হয়।

২৫.০৬.২০১২ সালে রাহী যোগদান করলো একটা ফাজিল মাদ্রাসায়, প্রভাষক পদে। জয়েন করার পর যা পেলো, সেটা দেশে সে মর্মাহত। সরকার প্রদত্ব ল্যাপ্টপ খোলাই হয়নি। প্রজেক্টরের অবস্থাও তাই। অফিস থেকে প্রশিক্ষণে শুধুমাত্র একজন কেই পাঠানো হয় বারবার, যিনি প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন, বাস্তবায়নের নাম নেই। এম এম সি রিপোর্ট বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান বারবার বিব্রত হচ্ছেন। রাহী সবিনয়ে অধ্যক্ষ সাহেবের অনুমতি নিয়ে ল্যাব খুললেন। চেষটা করছেন বারবার। সুবিধা হলো একটা পিন কোন ভাবেই সুনির্দিষ্ট স্থান ছাড়া অন্য স্থানে লাগে না । শিখে নিল রাহী। মনে রেখে চেষ্টা করে যায়। বারবার। অবশেষে সফল হলো সে। ক্লাস শুরু হলো। এম এম সি বাস্তবায়ন শুরু হলো। অনেকের বিরুপ মন্তব্য শুরু হল একই সাথে। রাহী জানে, ভালো কাজে বিরুপ মন্তব্য আসবেই। একজন দুজন করে আসা শুরু হলো ল্যাবে। উতসাহী হয়ে রাহীর সাহায্য ক্লাস পাঠান শুরু করলেন দু একজন। একবার জেলা শিক্ষা অফিস থেকে গবেষণা কর্মকর্তা এলেন। উৎসাহ দিলেন ক্লাস নিতে এম এম সি তে। সোৎসাহে শুরু হলো শিক্ষা, সবাই এগিয়ে এলেন। অধ্যক্ষ মহোদয় জেলা শিক্ষা অফিসের সেই কর্মকর্তাকে পরের মাসে অনুরোধ করে নিয়ে এলেন একটা দিনের জন্য ট্রেনিং এ। তার পর থেকেই ক্লাস পাঠান শুরু হোল। এখন যে তার প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাসের এত্ত আয়োজন, উদ্দিপনা ও সাফল্য, সেটার বীজ অংকুরিত হয়েছিল সেই থেকেই। ভাবতেই মন ভাল হয়ে যায় রাহীর। এমনি করেই এগিয়ে যাক দেশ, শিক্ষকগণ এগিয়ে যাক, ডিজিটাল বিনির্মান হোক।

মোঃ মানসুর হোসাইন

প্রভাষক, ইংরেজী

খাতিয়া বন্দান ফাজিল মাদরাসা, সদর, গাজীপুর