Loading..

মুজিব শতবর্ষ

২৪ অক্টোবর, ২০২০ ১০:০০ অপরাহ্ণ

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বই পড়া কর্মসূচী

মুজিব শতবর্ষ  সফল করার নিমিত্তে  দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রাণালয় এর অধীনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারে বই পড়া কর্মসূচীর কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে । করোনা ভাইরাসের কারনে সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ  থাকার পরেও  বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দিনাজপুর জেলার ভ্রাম্যমান লাইব্রেরির গাড়ীটি জনাব মো: ইকবাল হোসেন এর নেতৃত্বে  প্রতি বৃহস্পতিবারের ন্যায় চিরিরবন্দর উপজেলার আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে নিয়মিত আসা যাওয়া করছে ।

করোনা ভাইরাসের কারনে দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায়  শিক্ষকবৃন্দ  অনলাইনের মাধ্যমে যখন ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন তখন  বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রও  শিক্ষার্থীদের  মধ্যে অনলাইন প্লাটফম ব্যবহার করে  শিক্ষার্থীদের নিয়ে কবিতা আবৃত্তির প্রতিযোগিতাও করে চলছেন । প্রতিযোগিতায় পুরস্কার প্রাপ্তদের ঐ দিনে( যে দিন ভ্রাম্যমান লাইব্রেরির গাড়িটি স্কুলে আসে) স্কুলে আসতে বলেন এবং তাদের হাতে পুরস্কার স্বরুপ বই তুলে দেন। এর ফলে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির বই পড়া কর্মসূচীর সদস্যরা বিশ্বসাহিত্যের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে ।

 প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে সদস্যরা প্রতি বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিরতে বই জমা দিয়ে নতুন বই সংগ্রহ করে থাকে, এভাবেই কার্যক্রম চলতে থাকে । বই জমা ও গ্রহণ যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় এজন্য সদস্যদের মধ্য থেকে দায়িত্ব দেয়া হয় এবং তাদেরকে সহযোগিতা করে থাকে প্রতিষ্ঠানের দক্ষ স্কাউটসগণ ।

প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে ভ্রামমাণ গাড়ীটির চারপাশ সদস্য দ্বারা ভরপুর থাকতো কিন্ত আজ গাড়ীটিকে অসহায়ের মত মনে হচ্ছে । তার পরেও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের সঠিক নিদের্শনায় জ্ঞান বিতরণে ভ্রামমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।

অনেক শিক্ষার্থী বই কিনতে শহরে যেতে পারছে না বা তাদের অর্থ নেই এমকি তাদের বয়স ভিত্তিক বই পাচ্ছে না সে ক্ষেত্রেও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বই দিয়ে, পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার সহযোগিতা করছে । সকলেই হাতের কাছে (বই, ভালমানের বই )  পেতে চায়  সেটিও নিয়মিত  দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি।

 বিশ্বসাহিত্যের কার্যক্রম অন্যান্যদের চেয়ে আলাদা তাদের নিয়মিত যোগাযোগ ,পত্র প্রেরণ ও পুরস্কারের বই ও সনদ প্রেরণ  প্রতিযোগিতার ( ছবি আঁকা ,কবিতা আবৃত্তি, একক বক্তব্য ,ইত্যাদি) মাধ্যমে গ্র্রুপ ভিত্তিক ১ম,২য়,৩য় ও প্রয়োজনে ৪র্থ স্থান নির্বাচন করে বই হিসেবে পুরস্কার প্রদান করে থাকে। নিয়মিত প্রতিযোগিতার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ রেড়ে যায় এবং সেই সাথে বই পড়ার সদস্যসংখ্যা অনেক গুণে বৃদ্ধি পায় ।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার নিজেই একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে অন্যদের মাঝে জ্ঞানের আলো বিতরণ করতে চান । তিনি একজন নিজেই আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর । জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীনতার মহানায়ক তাঁর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের সাধারণ মানুষেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপর অবশেষে দীঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর  বাংলাদেশ স্বাধীন হয় আর আমরা পাই লাল সবুজের একটি পতাকা ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন ছিলে একটি সোনার বাংলাদেশে গড়ে তুলতে কিন্ত তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশীয় ঘাতকের হাতে নিমর্মভাবে স্ব-পরিবারে  নিহত হন । বিদেশে থাকায় বেঁচে জান দুই কন্যা  শেখ হাসিনা ( বর্তমান দেশের প্রধানমন্ত্রী  ) ও  শেখ রেহেনা । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে চাই সোনার মানুষ,  ভাল মানুষ .দক্ষ মানব সম্পদ আর এই ভাল ও দক্ষ মানুষ গড়ার কাজে লেগেছেন বিশ্বসাহিত্যে  কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার ।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বলেন , কাগজ থেকে ডিজিটাল বইয়ের দিকে আমরা যাচ্ছি । তারপরও বইয়ের আবেদন থাকবে। এটা ফুরিয়ে যাবে না । শোনা যাচ্ছে,শতকরা ৫০ভাগের বেশি বই ডিজিটাল বই করা যাবে না, তারমানে ৫০ ভাগ হলেও কাগজের বই থাকবে। আমাদের বাংলাদেশে রয়েছে বিশাল জনসংখ্যা । এ জনসংখ্যাকে বইয়ের মাধ্যমে আলোকিত করা গেলে তা আমাদের জন্য বিরাট সম্পদ ও শুক্তিতে পরিণত হবে ।

বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বই পড়া কমর্সূচীর মধ্যে নিজেদেরকে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে পারে । বই মানুষের জ্ঞানকে প্রসারিত করে এবং ভাল মনের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। ভাল মানুষ ছাড়া ভাল কিছু  করা সম্ভব নয়, তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুন্দর ,সুখী সমৃদ্ধশালী একটি সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে  বই পড়ার মধ্যদিয়ে তরুন প্রজন্মকে দক্ষ হিসেবে  গড়ে তুলতে হবে ।

আমি মনে করি দেশব্যাপী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বাষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম বিশেষ করে  গ্রাম এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও বই পড়া আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেয়া   উচিৎ।

 

মো: মিজানুর রহমান

অধ্যক্ষ

আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ

 চিরিরবন্দর,দিনাজপুর।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি