Loading..

ভিডিও ক্লাস

১৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

আল আখলাক || ৭ম শ্রেণী || আকাইদ ও ফিকাহ ।। BY NIDM

আল আখলাক || ৭ম শ্রেণী || আকাইদ ও ফিকাহ ।। BY NIDM

আখলাক দ্বারা সাধারনত মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মের মধ্য দিয়ে যে আচার-আচরণ ও স্বভাব-চরিত্রের প্রকাশ পায় তাকে বোঝায়। মানব জীবনের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং আন্তর্জাতিক সকল দিকই আখলাকের অন্তভূক্ত। কুরআন মাজীদের এক মৌলিক শিক্ষা হচ্ছে ‘আদব’ বা আচরণবিধি। কুরআনের এ শিক্ষা এতই বিস্তৃত যে, জীবনের কোনো অঙ্গন এর বাইরে নেই। এই বিস্তৃতিকে দুই বাক্যে ধারণ করতে হলে বলা যায়, খালিকের সাথে আচরণ এবং মাখলুকের সাথে আচরণ। ইসলামী আদব ও আচরণবিধির বৈশিষ্ট্য ও বিস্তৃতি সম্পর্কে আলাদা আলোচনা প্রয়োজন। এখানে শুধু একটি বিষয়ে কিছু আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। সূরাতুল আ’রাফে ১৯৯-২০০ আয়াতদ্বয়ের তাফসীরে অন্যান্য সূরার আরো কিছু আয়াত উল্লেখ করে বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও মুফাসসির আল্লামা ইবনে কাছীর রাহ. বলেছেন, ‘সূরা আরাফ, সূরা মুমিনূন ও সূরা হা-মীম আসসাজদার এ তিন আয়াত এক বিশেষ প্রসঙ্গে দিকনির্দেশনা দেয়। আর তা হচ্ছে, অবাধ্য ও উদ্ধত মানুষের সাথে উত্তম আচরণ। আল্লাহ তাআলা এ নীতি শিখিয়েছেন। কারণ এর দ্বারা ঐ ব্যক্তি তার ঔদ্ধত্য থেকে ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ। (তাফসীরে ইবনে কাছীর ২/৩৪৬) ইসলামি শাস্ত্র ও আইন অনুযায়ী আখলাক দুই প্রকার। যথা: আখলাকে হামিদাহ আখলাকে যামিমা আখলাকে হামিদাহ[সম্পাদনা] মানব জীবনের উত্তম গুণাবলিকে আখলাকে হামিদাহ বা প্রশংসনীয় চরিত্র বলে। যেমন-ধৈর্য, সততা, দেশপ্রেম, সমাজসেবা প্রভৃতি। আখলাকে যামিমা[সম্পাদনা] মানব জীবনের নিকৃষ্ট চরিত্রকে আখলাকে যামিমা বা নিন্দনীয় চরিত্র বলে। যেমন-অহংকার, ঘৃনা, মিথ্যাচার, সুদ ইত্যাদি। ইসলামে আখলাকের গুরুত্ব[সম্পাদনা] ইসলামের দৃষ্টিতে আখলাকের গুরুত্ব অনেক। সকল নবিই নিজ নিজ জাতিকে উত্তম চরিত্রের শিক্ষা দিয়েছেন। আর উন্নত চরিত্রকে পূর্ণতা দানের জন্য শেষ নবি মুহাম্মাদ কে আল্লাহ তায়ালা পাঠিয়েছেন।