Loading..

নেতৃত্বের গল্প

২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৮:৪৫ অপরাহ্ণ

প্লে থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন

সরকারী ভাবে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পুনবিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির আলোকে ধারাবাহিক  মূল্যায়ন গত ৩১ অক্টোবর,২০২০ খ্রি থেকে ১ম এ্যাসাইনমেন্ট দেয়ে শুরু হয়ে ৬ষ্ঠ এ্যসাইনমেন্টও গত ৩ ডিসেম্বরের দেয়া শেষ করে । ৬ষ্ট থেকে নবম শ্রেণির প্রতি শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্ট সংখ্যা হবে ১৮টি । যে সকল শিক্ষার্থী ১৮টি এ্যাসাইনমেন্ট সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত করবে তারা পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে । শিক্ষার্থীরা এ্যাসাইনমেন্ট-এর কাজটি অধিকগুরুত্ব ও মনযোগদিয়ে করার চেষ্টা করেছে আবার কিছু কিছু শিক্ষার্থী অন্যের দেখে নকল করে, গাইডবই থেকে হুবহুব নিয়ে,ফটোকপি করে ,ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে ,টাকা দিয়ে কিনে ,মায়ের কাছে/বাবার কাছে/বড় ভাই-বোনের কাছ থেকে/বন্ধুর কাছ থেকে লিখে নিয়ে জমা দিয়েছে । তার পরেও কাজটি কোন না কোনভাবে করে জমা দিতে হয়েছে , । তারা ৩১ শে অক্টোবর থেকে১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিল । আমি মনে করি ২০২১ সালের  শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাওয়া মাত্রই তাদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দিয়ে রুটিন অনুযায়ী  অনলাইন ক্লাস ও অধ্যায় শেষে এ্যাসাইনম্নেট দিলে তারা অনকেটাই ব্যস্ত থাকবে এবং পড়ালেখার মধ্যেই থাকবে।  শিক্ষার্থীরা ল্যাপটপ ,ট্যাব ও স্মাটফোন হাতে পেয়েছে সেগুলো যদি যথাযথভাবে ব্যবহার না হয় তা হলে বিপদগামী হওয়ার সম্ভবনা  অনেক বেশী। আমাদের দেশের অধিকাংশ বাবা-মার স্মাটফোন নেই যদিও আছে তা ভাল ব্যবহার বোঝেন না, কিন্ত করোনাকালীন সময়ে  তারা ছেলে-মেয়েদের অনলাইন ক্লাস ও অনলাইন পরীক্ষা দেয়ার জন্যই মূলত কিনে দিয়েছেন। বাস্তবে কিছু কিছু ছেলে-মেয়েদের দেখলে মনে হয় তারা ইউটিউব আর ফেসবুক চেটিং নিয়েই ব্যস্ত থাকে । তাদের অনলাইন ক্লাস/পরীক্ষার কথা বললে বলে দেখিনা/দিচ্ছিনা, তাহলে আপনরা বুঝতেই পারছেন সারাটাদিন তারা কি করে? সকালে ঘুম থেকে ওঠে বইয়ের ব্যাগটা ঘারে নিয়ে শুধু ছুটছে আর ছুটছে  কোচিং ক্লাস/প্রাইভেট শিক্ষকের বাসায় বাসায় । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তাই তাদের ক্লাসে যেতে , পরীক্ষা দিতে হচ্ছে না ,ক্লাসে পড়াও দিতে হয়না এমনকি কারো কাছে কোন জবাবদিহী করতে হয়না। শিক্ষার্থীরা নিজের ইচ্ছেমত চলছে  আর ঘুরেছে । শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে সরকার যে পরিকল্পনা করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। কলেজ পর্যায়েও এ্যাসাইনমেন্ট দেয়া দরকার। আমরা প্লে থেকে ২য় শ্রেণি পর্যন্ত ৪টি ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ৬টি এ্যাসাইনমেন্ট নভেম্বরের ২৪ তারিখ থেকে দেয়া শুরু করে জমাদান আগামীকাল ২৪ ডিসেম্বর শেষ হবে । মূল্যোয়ন শেষে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত হবে । শিক্ষক শিক্ষার্থী উভয়ই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ।আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের এ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের কাজ চলছে ।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হলেও আমরা শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ/শ্রেণির কাজ দেয়ার পাশাপাশি এ্যাসাইনমেন্ট দেয়া অব্যাহত রাখতে চাই ।   

মো: মিজানুর রহমান

অধ্যক্ষ-আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ,চিরিরবন্দর,দিনাজপুর।


আরো দেখুন