Loading..

নেতৃত্বের গল্প

০৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

আমার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার গল্প-০২

আমি আমার জীবনের চেয়েও প্রিয় শিক্ষা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেকের সাথে মিথোস্ক্রিয়া হয়েছে। আমি দুঃখিত আমার কাজে ভূল থাকতে পারে, যে কাজ করে তারই ভূল হয়, আর যে কাজ না করে তার কাজ না করাটাই মস্ত বড় ভূল। জীবনে অনেক মনিষির বই পড়ে জেনেছি, প্রধান শিক্ষক হিসাবে ৪০টির অধিক প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদ্যালয়ে ইন-হাউজ প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করতে যেয়ে অনেক শিক্ষা হয়েছে, শিক্ষকের কাছে শিখেছি, শিক্ষার্থীদের কাছে, সন্তানতুল্য অনেকের কাছে শিখে আজ প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাধা প্রাপ্ত হয়ে হেরে গিয়েছি! আব্রাহাম লিংকন এর মত হেরে গিয়ে মনবল না হারিয়ে আবার যাত্রা শুরু করেছি। পেটে গ্যাসের জ্বালায় দেশের সেরা ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে ৪-৫ লক্ষ অর্থ ব্যয় করে শরীর ভাল হয়নি বলে সহকর্মী এম্বাসেডর, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে সহকর্মীদের কাছে বিদায় নিয়েও কোভিড-১৯ করোনাকালীন সকল কাজে পুনঃ মনোনিবেশ করেছি। অনেক মনিষি, ডাক্তারের সহমর্মিতা নিজের জীবনে ধারণ করে এখন আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে নিজের সকল কাজ কর্মে যোগদান করা শুরু করেছি। আমার ডিজিটাল কাজের স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন সিরাজগঞ্জ জেলার  রায়গঞ্জ উপজেলার সাবেক মাধ্যমিক উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ ছাকমান আলী, আরেক প্রাণপুরুষ রায়গঞ্জের রুপকার সাবেক ইউএনও, পরবর্তীতে এডিসি(আইসিটি) পটুয়াখালী বর্তমানে কোড আনকোড-হোম মিনিস্ট্রিতে যোগ্য দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত। বর্তমান ইউএনও রায়গঞ্জ উপজেলা প্রশাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রাজিবুল আলম মহোদয় ও উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব ইমরুল হোসেন ইমন তালুকদার মহোদয়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ১২ ডিসেম্বর স্বাধীনতার মাসে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস সেমিনারে আমাকে ডিজিটাল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করার সুযোগ করে দেবার জন্য। আরেক অকুতোভয় তাড়াশ উপজেলার শ্রদ্ধেয় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান স্যার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে ও আমার সহযোদ্ধা তাড়াশ উপজেলা অ্যাম্বাসেডর টিমকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ২১ ডিসেম্বর ২০২০ আমাকে বক্তব্য উপস্থাপনের সু্যোগ সৃষ্টি করে দিয়ে ধন্য করেছেন। আরও ধন্যবাদ জানাই আমর প্রিয় অ্যাম্বাসেডর আফজাল, মির্জা,আমিনুল, শামীম স্যারসহ অনেকেই আছেন যাদের নাম আমি লিখতে পারিনি বলে দুঃখ প্রকাশ করছি। বাবা-মাকে,চাচা-চাচি,ফূপুকে,একমাত্র ছোটভাই ভেবেছিলাম ফুপাতো ভাই আনোয়ার, তাকেও হারিয়েছি। যারা অনবরত আমাকে বেচে থাকার সাহস যুগিয়েছেন। আমাকে নিজের বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তানের কথা মনে করে বেচে থাকার তাগিতে বাবার জমি-জমা অর্ধেক খোয়েছি, আমি কথা বেশী বলি বোলে অনেকে আমার জীবন রক্ষার জন্য আক্ষেপ করে বলে বেশী কথা বললে নাকি আমার বেচে থাকা কঠিন হবে! আমি পৃথিবীতে বেশীদিন বেচে থেকে লাভ কি? সুশিক্ষক হতে প্রাণপণ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। যদি ভাল মানুষ তৈরিতে কল্যাণকর কিছু করতে না পারি? তাহলে  আমার বাবার দাদা নলকা সেনগাতী গ্রামের এতিম/মাজুল (জমি-জমা থেকে বঞ্চিত) ইমান আলী, তার ছয় পূত্রের একজন চান্দুল্ল্যা সরকার , চান্দুল্ল্যা সরকারের পুত্র আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার সরকার এ সমাজ পরিবর্তনে স্বাভাবিক পদক্ষেপ নিয়েও কোন পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় কি? আপনারা যারা পাঠক তাদের কাছে বিনীত প্রশ্ন রইল? আমি তার পরেও মানুষের কল্যাণে, জাতির কল্যাণে সমাজ পরিবর্তন এ অবিরাম কাজ করে মানুষের মনের গভীরে জায়গা করে নিতে চাই, আমার বিদ্যালয়ের/সিরাজগঞ্জ জেলার সকল শিক্ষার্থীদের আমার চেয়ে উন্নত জীবনমান গড়ে দিতে চাই, শিক্ষকের জীবন জীবিকার মান বদলে দিতে চাই, এ বিনীত প্রস্তাবে আপনাদের কি কোন দ্বিমত পোষণ করেন? বিনিময় কিছুই চাই না,চাই সুন্দর নির্মল হাসিমাখা মুখ? চাই ডিজিটাল কারিগর হিসাবে আমার কাজ, কাজের স্বীকৃতি  বঙ্গবন্ধুর ডিজিটাল বাংলাদেশ, সবার জন্য শুভকামনা জানাই,আল্লাহ বাচিয়ে রাখলে চলবেঃ

আরো দেখুন