প্রভাষক
১০ জানুয়ারি, ২০২১ ০৮:০৬ পূর্বাহ্ণ
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
সালাম (আরবি: ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ
وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ) একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ
হচ্ছে শান্তি,
প্রশান্তি
কল্যাণ,
দোয়া, আরাম, আনন্দ, তৃপ্তি।[১] সালাম একটি
সম্মানজনক,
অভ্যর্থনামূলক, অভিনন্দনজ্ঞাপক, শান্তিময় উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন পরিপূর্ণ
ইসলামী অভিবাদন।
এটি উল্লেখ্য যে,
‘আস্-সালাম’ আল্লাহর সুন্দর
নামসমূহের মধ্যে একটি অন্যতম নাম এবং জান্নাতের নাম সমূহের মধ্যে একটি জান্নাতের নাম।সালাম আমাদের জীবনে অনেক
শান্তি ও সুখ আনে।
সালামের
উৎপত্তি
মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ সর্বপ্রথমে
প্রথম মানব আদমকে সালামের শিক্ষা
দেন।[৪]
হাদিসে আছে, আবু
হুরায়রাথেকে বর্ণিত হয়েছে
রাছূলুল্লাহ মুহাম্মাদ(সাঃ) বলেন আল্লাহ আদম (আঃ)কে সৃষ্টি করে বলেন, যাও ফেরেশতাদেরদলকে সালাম দাও এবং
তোমার সালামের কি উত্তর দেয় মন দিয়ে শুন। এটিই হবে তোমার আর তোমার সন্তানদের
সালাম। সে অনুযায়ী আদম গিয়ে বলেন,
আস্সালামু আলাইকুম(অৰ্থ- ‘আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক’)।
ফেরেশতারা উত্তর দেন,
ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি (অৰ্থঃ
‘আপনাদের উপর শান্তি এবং আল্লাহ
রহমত বর্ষিত হোক’)।
ফেরেশতারা রাহমাতুল্লাহ বৃদ্ধি করেন।
সালাম দেওয়া সুন্নত। উত্তর দেওয়া ওয়াজিব
অন্যের গৃহে সালাম না দিয়ে প্রবেশ করা নিষেধ
কুরআন-এ আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন যে,
“ |
হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম। যাতে তোমরা স্মরণ রাখো। |
” |
হাদিসে অন্যের গৃহে গিয়ে তিনবার সালাম দিতে বলা হয়েছে এবং অনুমতি প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। অনুমতি নাদিলে চলে আসতে বলা হয়েছে।
সত্যিকার অর্থে যদি ইসলামের বিধি-বিধান মেনে সালামের প্রচলন করা
যেত তাহলে সমাজ, গ্রাম,ও রাষ্ট্র থেকে সকল অনাচার চুরি,ডাকাতি , রাহাজানি, হিংসা ও
বিদ্বেষ দূরিভূত হয়ে একটি সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত হতো।