Loading..

প্রকাশনা

১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০৫:০২ অপরাহ্ণ

পৌষ-সংক্রান্তি উপলক্ষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বিনিরাইলে এবারও বসেছে ‘জামাই মেলা’। মেলা দেখতে এলাকাজুড়ে ঢল নেমেছে মানুষের।

পৌষ-সংক্রান্তি উপলক্ষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বিনিরাইলে এবারও বসেছে ‘জামাই মেলা’। মেলা দেখতে এলাকাজুড়ে ঢল নেমেছে মানুষের। প্রায় আড়াইশ বছরের পুরনো এই মেলাটি প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়। স্থানীয় জামাই এবং শ্বশুরদের মধ্যে চলে বড় মাছ কেনার প্রতিযোগীতা। প্রতিবছর সারাদেশ থেকে বিক্রেতারা এখানে মাছ নিয়ে আসেন। তাই দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারাও ছুটে আসেন মাছ কিনতে। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার জাঙ্গালীয়া, মোক্তারপুর ও জামালপুর ইউনিয়নের ত্রি-মোহনার বিনিরাইল গ্রামের বিরাট এলাকাজুড়ে মাছের পসরা সাজিয়ে বসছেন মাছ বিক্রেতারা। হাজারেরও বেশি স্টলে দেশের বিভিন্ন জায়গার মাছ বিক্রেতারা এখানে মাছ বিক্রির জন্য ছুটে এসেছেন। তারা নানা অঙ্গভঙ্গি করে সুর ধরে ডেকে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। কেউ কেউ বড় আকৃতির মাছ উপরে তুলে ধরে ক্রেতাদের ডাকছেন। মেলায় আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, মেলায় প্রচুর দেশি রুই, কাতল, বোয়াল, আইড়, বাঘাইর, চিতল, কালবাউশ ও রিটা মাছের সমাগম হয়েছে। এছাড়া কার্প জাতীয় নানা মাছের আমদানি হয়েছে। এক কেজি থেকে শুরু করে বিশ কেজি পর্যন্ত এসব মাছের দাম হাঁকা হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে পনের হাজার টাকা পর্যন্ত। বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। সামর্থ অনুযায়ী ক্রেতারা এসব মাছ কিনছেন। তবে বড় মাছ কেনার জন্য বিনিরাইলের মাছের মেলাই সবচেয়ে উত্তম জায়গা।মেলার মাছ বিক্রেতারা জানান, ঐতিহ্যের কারণে বিনিরাইলের মাছের মেলায় কেনার চেয়ে দেখতে আসা মানুষের ভিড় বেশি। তবে বিক্রিও একেবারে খারাপ না। স্থানীয় মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক স্থাপন হওয়াতে প্রতি বছর এ মেলায় যোগ দেন তারা। এখানে বেচা-কেনাকে মুখ্য মনে করেন না বলেও জানান বিক্রেতারা। আয়োজক কমিটি জানায়, শুরুতে মেলাটি অনুষ্ঠিত হতো খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে। এটি অগ্রহায়ণের ধান কাটা শেষে পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবে আয়োজন করা হতো। প্রায় আড়াইশ বছর ধরে মেলাটির আয়োজন হয়ে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ মেলাটি একটি সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। তাই বেড়েছে মেলার পরিধিও। এখানে শুধু মাছ নয়, এ মেলাকে কেন্দ্র করে বস্ত্র, হস্ত, চারু-কারু, প্রসাধনী, ফার্নিচার, খেলনা, তৈজসপত্র, মিষ্টি ও কুটির শিল্পের নানা পণ্যের স্টল বসে। মেলাকে ঘিরে বিনিরাইলের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। মেলা উপলক্ষে মেয়ে-জামাইকে দাওয়াত করে আনা এই এলাকার মানুষের রীতিতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ফারুক মাস্টার জানান, বৃটিশ শাসনামল থেকে শুরু হওয়া বিনিরাইলের মাছের মেলা এখন ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। এ মেলা গাজীপুর জেলার সবচেয়ে বড় মাছের মেলা হিসেবে স্বীকৃত। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, মেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছেন স্থানীয়রাও।

পৌষ-সংক্রান্তি উপলক্ষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বিনিরাইলে এবারও বসেছে ‘জামাই মেলা’। মেলা দেখতে এলাকাজুড়ে ঢল নেমেছে মানুষের।




প্রায় আড়াইশ বছরের পুরনো এই মেলাটি প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়।  স্থানীয় জামাই এবং শ্বশুরদের মধ্যে চলে বড় মাছ কেনার প্রতিযোগীতা। প্রতিবছর সারাদেশ থেকে বিক্রেতারা এখানে মাছ নিয়ে আসেন। তাই দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারাও ছুটে আসেন মাছ কিনতে। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার জাঙ্গালীয়া, মোক্তারপুর ও জামালপুর ইউনিয়নের ত্রি-মোহনার বিনিরাইল গ্রামের বিরাট এলাকাজুড়ে মাছের পসরা সাজিয়ে বসছেন মাছ বিক্রেতারা। হাজারেরও বেশি স্টলে দেশের বিভিন্ন জায়গার মাছ বিক্রেতারা এখানে মাছ বিক্রির জন্য ছুটে এসেছেন। তারা নানা অঙ্গভঙ্গি করে সুর ধরে ডেকে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। কেউ কেউ বড় আকৃতির মাছ উপরে তুলে ধরে ক্রেতাদের ডাকছেন।




মেলায় আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, মেলায় প্রচুর দেশি রুই, কাতল, বোয়াল, আইড়, বাঘাইর, চিতল, কালবাউশ ও রিটা  মাছের সমাগম হয়েছে। এছাড়া কার্প জাতীয় নানা মাছের আমদানি হয়েছে। এক কেজি থেকে শুরু করে বিশ কেজি পর্যন্ত এসব মাছের দাম হাঁকা হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে পনের হাজার টাকা পর্যন্ত। বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। সামর্থ অনুযায়ী ক্রেতারা এসব মাছ কিনছেন। তবে বড় মাছ কেনার জন্য বিনিরাইলের মাছের মেলাই সবচেয়ে উত্তম জায়গা।মেলার মাছ বিক্রেতারা জানান, ঐতিহ্যের কারণে বিনিরাইলের মাছের মেলায় কেনার চেয়ে দেখতে আসা মানুষের ভিড় বেশি। তবে বিক্রিও একেবারে খারাপ না। 




স্থানীয় মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক স্থাপন হওয়াতে প্রতি বছর এ মেলায় যোগ দেন তারা। এখানে বেচা-কেনাকে মুখ্য মনে করেন না বলেও জানান বিক্রেতারা।


আয়োজক কমিটি জানায়, শুরুতে মেলাটি অনুষ্ঠিত হতো খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে।  এটি অগ্রহায়ণের ধান কাটা শেষে পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবে আয়োজন করা হতো। প্রায় আড়াইশ বছর ধরে মেলাটির আয়োজন হয়ে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ মেলাটি একটি সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে।  তাই বেড়েছে মেলার পরিধিও। এখানে শুধু মাছ নয়, এ মেলাকে কেন্দ্র করে বস্ত্র, হস্ত, চারু-কারু, প্রসাধনী, ফার্নিচার, খেলনা, তৈজসপত্র, মিষ্টি ও কুটির শিল্পের নানা পণ্যের স্টল বসে। 




মেলাকে ঘিরে বিনিরাইলের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ।  মেলা উপলক্ষে মেয়ে-জামাইকে দাওয়াত করে আনা এই এলাকার মানুষের রীতিতে পরিণত হয়েছে। 


স্থানীয় জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ফারুক মাস্টার জানান, বৃটিশ শাসনামল থেকে শুরু হওয়া বিনিরাইলের মাছের মেলা এখন ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। এ মেলা গাজীপুর জেলার সবচেয়ে বড় মাছের মেলা হিসেবে স্বীকৃত।


কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, মেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছেন স্থানীয়রাও।  


আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি