Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০৮:৩৯ অপরাহ্ণ

ঘুড়ি উতসব
ড়ির ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যীশু খ্রীস্টের জন্মের প্রায় ২৮০০ বছর আগে চীনে প্রথম ঘুড়ি ওড়ানো হয়। সেসময় বাঁশের কাঠামোর সঙ্গে সিল্ক কাপড় দিয়ে ঘুড়ি বানানো হতো। এরপর তো কাগজ দিয়ে বানানো হলো ঘুড়ি। এই সময় আবার এই কাগজে বিভিন্ন তথ্যও লেখা হতো। কেন? কারণ কোনো কোনো সময় যুদ্ধক্ষেত্রে ঘুড়ি দিয়ে শত্রুপক্ষের চোখ এড়িয়ে নিজের লোকদের কাছে সংবাদ পাঠানো হতো। এছাড়াও আরো কিছু কাজে ঘুড়ি ওড়ানো হতো। যেমন দূরত্ব মাপা, বাতাসের গতিবিধি দেখা থেকে শুরু করে সংকেত পাঠানোর কাজেও ব্যবহার করা হতো ঘুড়ি। এরপর ১৩ শতকের শেষের দিকে পরিব্রাজক মার্কো পোলোর মাধ্যমে ঘুড়ির কথা ইউরোপের মানুষ জানতে পারে। তবে ঘুড়ির স্বর্ণযুগ বলা হয় ১৮৬০ সাল থেকে ১৯১০ পর্যন্ত সময়কে। কারণ এই সময় ঘুড়ি দিয়ে অনেক বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করা হতো।
বাংলাদেশের ঘুড়ি উৎসবের ইতিহাস অনেক পুরোনো। সেই মোঘল আমল থেকেই বাংলাদেশের মানুষ ঘুড়ি নিয়ে উৎসব করে। নবাবরাই প্রথম শুরু করে এই ঘুড়ি উৎসব। ঘুড়ি নিয়ে উৎসব করাটা তখন নবাব পরিবারের রেওয়াজ ছিল। ধীরে ধীরে এই উৎসব ওল্ড ঢাকার মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে।পৌষ সংক্রান্তির উৎসব নবাবরা মূলত পৌষ সংক্রান্তির সময় ঘুড়ি নিয়ে উৎসব করতো। পৌষ মাসের শেষ দিনকে বলা হয় পৌষ সংক্রান্তি। তাই বলা যায় বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো ঘুড়ি উৎসব হল পুরোনো ঢাকার পৌষ সংক্রান্তির ঘুড়ি উৎসব। উৎসবের প্রায় ১০ দিন আগে থেকে শুরু হয় প্রস্তুতি। নানা রঙের ঘুড়ি সংগ্রহ করা, নাটাই কেনা এবং সুতোয় মাঞ্জা দেয়ার কাজ চলতেই থাকে। মাঞ্জা দেয়ার কাজটা কিন্তু বেশ কঠিন। কাঁচের গুড়োর সঙ্গে কিছু আঠালো পদার্থ মিশিয়ে বানোনো হয় মাঞ্জা। ঘুড়ির সুতোয় সেই মাঞ্জা দিলে তা শক্তিশালী হয় এবং অন্য ঘুড়িকে কাটতে পারে সহজেই। পৌষ সংক্রান্তির উৎসবে ঘুড়ি কাটাকাটি একটি বড় বিষয়। এই উৎসবে ছোট বড় সবাই মিলে ঘুড়ি ওড়ায়। সেই সঙ্গে মায়ের হাতের পিঠা আর মিষ্টিতো থাকেই। সারা দিন ঘুড়ি উড়িয়েই শেষ হয় না এই উৎসব। সন্ধ্যায় চলে আগুন নিয়ে খেলা। প্রত্যেক বাড়ির ছাদে চলে নানা রকম আগুন নিয়ে কসরত আর সঙ্গে থাকে আতশ বাজি।

আরো দেখুন