Loading..

ভিডিও ক্লাস

২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০৮:০১ অপরাহ্ণ

ধ্বনি- নবম- দশম শ্রেণী - রায়হান উদ্দিন - নান্দিয়া সাঙ্গুন আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা।

ধ্বনি- নবম - দশম শ্রেণী - রায়হান উদ্দিন - নান্দিয়া সাঙ্গুন আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা। কোন ভাষার উচ্চারণের ক্ষুদ্রতম এককই হলো ধ্বনি। ভাষাকে বা ভাষার বাক প্রবাহকে বিশ্লেষণ করলে কতগুলো ক্ষুদ্রতম একক বা মৌলিক ধ্বনি পাওয়া যায়। যেমন- অ, আ, ক্, খ্, ইত্যাদি। ধ্বনি মূলত দুই প্রকার। যথা: স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি। ১. স্বরধ্বনি ধ্বনি উচ্চারণের সময় মানুষ ফুসফুস থেকে কিছু বাতাস ছেড়ে দেয় এবং সেই বাতাস ফুসফুস কণ্ঠনালী দিয়ে এসে মুখ দিয়ে বের হওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গায় ধাক্কা খেয়ে বা বাঁক খেয়ে একেক ধ্বনি উচ্চারণ করে। যে ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় এই বাতাস কোথাও বাধা পায় না বা ধাক্কা খায় না, তাদেরকে স্বরধ্বনি বলে। যেমন, অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ ইত্যাদি। এগুলো উচ্চারণের সময় বাতাস ফুসফুস থেকে মুখের বাহিরে আসতে কোথাও ধাক্কা খায় না। বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি মাত্র ৭টি (অ, আ, ই, উ, এ, অ্যা, ও) এবং যৌগিক স্বরধ্বনি মোট ২৫টি। এগুলো হল: আই (যাই), আউ (লাউ), আএ (যায়), আও (খাও), ইই (দিই), ইউ (শিউলি), ইএ (বিয়ে), ইও (নিও), উই (শুই), উআ (কুয়া), এআ (কেয়া), এই (নেই), এও (খেও), ওও (শোও)। তবে যৌগিক স্বরবর্ণ মাত্র ২টি (ঐ, ঔ)। অন্য যৌগিক স্বরধ্বনিগুলোর নিজস্ব প্রতীক বা বর্ণ নেই। ২. ব্যঞ্জনধ্বনি যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বাতাস মুখের বাহিরে আসার পথে কোথাও না কোথাও ধাক্কা খায় বা বাধা পায়, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন- ক্, খ্, গ্, ঘ্ ইত্যাদি। এই ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় বাতাস জিহবামূল বা কণ্ঠ্যে ধাক্কা খায়। তাই এগুলো ব্যঞ্জনধ্বনি।