Loading..

প্রকাশনা

২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ০৮:৫১ অপরাহ্ণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মাজার, টুঙ্গীপাড়া, গোপালগঞ্জ।


হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মাজার  টুঙ্গীপাড়া, গোপালগঞ্জ জেলায় অবস্থিত।  এ মাজারটি গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে ১৯ (উনিশ) কিলোমিটার দূরে টুঙ্গীপাড়ায় অবস্থিত। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক এ মাজারে আসেন জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান টুঙ্গীপাড়া গ্রাম এখন নবালোকেউদ্ভাসিত একটি জনপদ। টুঙ্গীপাড়াকে বদলে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স। প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে গড়ে প্রায় ৫ হাজারমানুষ টুঙ্গীপাড়ায় আসেন প্রিয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। তারা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি, আন্দোলন-সংগ্রাম, বর্ণাঢ্য জীবন ও ত্যাগ সম্পর্কে জানতে পেরে আনন্দিত হন। বঙ্গবন্ধুর কবরের বেদির পাশে দাঁড়িয়ে মুজিব আদর্শের সৈনিকরা কবরে শ্রদ্ধা জানান, তার জন্য কাঁদেন এবং বিশেষ মোনাজাত করেন। গ্রামটি পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে হলেও গ্রামের নামেই উপজেলা সদরের নামহয়েছে টুঙ্গীপাড়া। এই টুঙ্গীপাড়াতেই ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে মৃত্যুহীন প্রাণ নিয়ে জন্মমাটি টুঙ্গীপাড়ায় ফিরে আসেন তিনি। পরদিন পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৯৯ সালের ১৭ মার্চ সমাধিসৌধের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ৩৮.৩০ একরজমির ওপর ১৭ কোটি ১১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ব্যয়ে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সহযোগিতায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এ সমাধিসৌধ নির্মাণ করে। টুঙ্গীপাড়ার বাইগার নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে এ মাজার কমপ্লেক্স। লাল সিরামিক ইট আর সাদা-কালো টাইলস দিয়ে গ্রিক স্থাপত্য শিল্পের আদলে নির্মিত সৌধের কারুকার্যে ফুটে উঠেছে বেদনার চিহ্ন। কমপ্লেক্সের সামনের, দু'পাশের উদ্যান পেরোনোর পরই বঙ্গবন্ধুর কবর। পাশেই তার বাবা-মায়ের কবর। এই তিন কবরকে ঘিরেই নির্মাণ করা হয়েছে মূল টম্ব। সাদা পাথরে নির্মিত গোলাকার এক গম্বুজ বিশিষ্টস মাধিসৌধের ওপর দেয়ালে জাফরি কাটা। এই জাফরি কাটা দিয়েই সূর্যের আলো আসে। উপরে কাচের কারুকাজ দিয়েও আলো ছড়িয়ে পড়ে কবরে। চারদিকে কালো টাইলস ওমাঝখানে শ্বেতশুভ্র টাইলসে বঙ্গবন্ধুর কবর বাঁধানো। উপরের অংশ ফাঁকা। কবরতিনটি ঘিরে রাখা হয়েছে সংক্ষিপ্ত রেলিং দিয়ে। ২০০১ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকন্যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সমাধিসৌধের উদ্বোধন করেন। কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে পাঠাগার, গবেষণাকেন্দ্র, প্রদর্শনী কেন্দ্র, মসজিদ, পাবলিক প্লাজা, প্রশাসনিক ভবন, ক্যাথেটেরিয়া, উন্মুক্ত মঞ্চ, বকুলতলা চত্বর, স্যুভেনির কর্নার, প্রশস্তপথ, মনোরম ফুলের বাগান ও কৃত্রিম পাহাড়।

মাজার কমপ্লেক্সের পাঠাগারে দেড়হাজারেরও বেশি বই রয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা 'আমার কিছু কথা', শেখ হাসিনার লেখা 'আমার পিতা শেখ মুজিব', 'ওরা টোকাই কেন' প্রভৃতি মূল্যবানগ্রন্থ।
 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি