Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১০ মার্চ, ২০২১ ০৫:২৯ অপরাহ্ণ

হতবিহবল কাহিনী! ১৯৭০ সাল, পাকিস্তান। সামরিক ট্রেনিং-এ দেখা হলো আফতাবুল কাদেরের সাথে।
হতবিহবল কাহিনী!
১৯৭০ সাল, পাকিস্তান। সামরিক ট্রেনিং-এ দেখা হলো আফতাবুল কাদেরের সাথে। এই সুদর্শন ক্যাডেট মেজর হাফিজকে জানালেন, তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন ‘পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করতে!’
হাফিজ মুগ্ধ তার স্পিরিট দেখে। পরে ১৯৭১ সালের এপ্রিলে মহালছড়ির যুদ্ধে শহীদ হলেন ক্যাপ্টেন আফতাবুল কাদের।
১৯৭১, ৩০ মার্চ। পাঞ্জাবীদের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হলো যশোর সেনানিবাসের বাঙ্গালী সৈনিকরা। হাফিজ সেকেন্ড লে. আনোয়ারকে বললেন: আমি বিদ্রোহ করেছি, তুমি কি করবে?
আনোয়ার তেজোদীপ্ত কন্ঠে জানালেন, সাথে আছি। ‘লেট আস ফাইট ইট আউট।’ কয়েক ঘন্টা পর পাকিস্তানীদের মেশিনগানের গুলিতে জীবন হারালেন আনোয়ার।
৩১ জুলাই কামালপুরের ঐতিহাসিক যুদ্ধ। মাইন ফিল্ড এর পেছনে মেশিনগানের নল বের করা শত্রুর দূভেদ্য বাংকার। সেই বাংকার আক্রমন করার জন্য খোলা ধানক্ষেত দিয়ে জীবন বাজি রেখে ছুটলেন ১ম বেঙ্গল। কামানের গোলায় সেখানেই নিহত হলেন হাফিজের বন্ধু অসীম সাহসী বীর ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন। স্লিন্টার আঘাত করলো হাফিজের কাঁধে আর হাতে।
অক্টোবর ১৯৭১। শ্রীমঙ্গলে চা বাগানের শ্রমিক হরি পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে মুক্তিযোদ্ধাদের। খবর এলা হরির স্ত্রী মৃত সন্তান প্রসব করে নিজেও মারা গেছেন। চোখ মুছে হরি বলেন: বউ মরছে তো কি হইছে। আমিই লইয়া যামু আপনাগো।
২৭ নভেম্বর সিলেট আক্রমন করার আগের রাতে দেখা হলো দু বন্ধুর। হাফিজ বললেন: সাবধানে থাকিস। ক্যাপ্টেন মাহবুব বললেন: গনক হাত দেখে বলেছিল ৪০ বছলের আগে মৃত্যু নেই আমার। ডোন্ট ওরি, সকালে দেখা হবে। সকালের যুদ্ধে কামানের গোলার ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলেন মাহবুব।
‘সৈনিক জীবন: গৌরবের একাত্তর, রক্তাক্ত পচাত্তর’ পড়েছি আর বিহবল হয়ে বসে থেকেছি বারবার। এতো বড় বীর ছিলেন, এতো আত্নত্যাগী ছিলেন আমাদের পূর্ব্ সূরীরা! বারবার চোখ মুছেছি, বারবার বুকের ছাতি ফুলে উঠেছে একশ হাত. বারবার অন্তর বিদীর্ন হয়েছে এটা ভেবে এদের উত্তরসূরী আমরা, এই পুচকেরা!
ধন্যবাদ মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম)। অনেক ধন্যবাদ, এই বইটা লেখার জন্য।
নিজের দেশের প্রকৃত বীরদের জানুন। অবশ্যই এই বইটি আপনার সন্তানদের হাতে তুলে দিন। পাবেন প্রথমার সব বিক্রয়কেন্দ্রে, রকমারীতে।
হ্যাকসো রিজ্, সেভিং প্রাইভেট রায়ান আর ফিউরী-র মতো সিনেমা দেখে অবশ হয়ে বসে থাকি। এই বই তো সব ছাড়িয়ে গেছে!

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি