Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৯ মার্চ, ২০২১ ১১:৩৬ অপরাহ্ণ

ধূমকেতু

ধূমকেতু সৌরজগতের একটি ছোট্ট অংশ যেটি সূর্যকে কেন্দ্র করেই ঘোরে। সূর্যের কাছাকাছি এসে পড়লে তার একপাশে লম্বা আলোর রেখার মতো দেখা যায়, এই আলোটিকে আমরা লেজ বা ঝাড়ু বলে থাকি।

একটি ধূমকেতু সূর্যের যত কাছাকাছি থাকবে ততই এর লেজ তৈরির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। পানি, কার্বন ডাই অক্সাইড, এবং আরও কিছু যৌগ বাষ্পীভূত হয়ে তৈরি করে এই লেজ।

ধূমকেতু কী দিয়ে তৈরি তা কখনও ভেবেছ কি? বরফ, ধুলো আর ছোট পাথর দিয়ে তৈরি হয় ধূমকেতু।

ধূমকেতুর ইংরেজি প্রতিশব্দ comet, যার উৎপত্তি একটি গ্রীক শব্দ থেকে, যার অর্থ ছিল ‘মাথার চুল’। গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটল এদের নাম দেন ‘stars with hair’ অর্থাৎ ‘চুল ওয়ালা তারা’।

ক্ষণস্থায়ী ধূমকেতুর প্রতি ঘূর্ণনকাল ২০০ বছরের নিচে হয়, আর দীর্ঘস্থায়ী ধূমকেতুর ক্ষেত্রে সেটা ২০০ বছরেরও অধিক।

হ্যালির ধূমকেতু:

হ্যালির ধূমকেতু হল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধূমকেতু।

এটাকে ক্ষণস্থায়ী ধূমকেতু বলা হয় কারণ সে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে ২০০ বছরের কম সময় নেয়।

আজ থেকে হাজার বছর পূর্বেও মানুষ এই ধূমকেতু দেখত বলে জানা যায়। ব্যাবিলন, চীন এবং ইউরোপে পর্যবেক্ষকরা তখন হ্যালির ধূমকেতু দেখেছেন বলে নথিপত্রে লিখে রেখেছেন।

প্রতি ৭৫ বা ৭৬ বছর পরপর খালি চোখে এ ধূমকেতু দেখা যায় পৃথিবী থেকে।

১৯৮৬ সালে সর্বশেষ একে দেখা যায়। আশা করা যাচ্ছে ২০৬১ সালে আবার এটিকে দেখা যাবে।

ইংরেজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালি সর্বপ্রথম এই ধূমকেতুর সূর্যকে কেন্দ্র করে একবার ঘোরার সময়কাল বের করেন। তার নামানুসারেই এই ধূমকেতুর নামকরণ করা হয়।

১৯৮৬ সালে যখন শেষবার এটি দৃশ্যমান হয় তখন বিজ্ঞানীরা আকাশযান ব্যবহার করে এটি পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পান। এ সুযোগে পুরনো অনেক তথ্য ও ধারণা যাচাই করে নেওয়ার পাশাপাশি কিছু ভুল ধারণাও শুধরে নেওয়া সম্ভব হয়। যেমন আগে ধারণা ছিল এতে গলন্ত বরফের পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু এ পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত হয় আসলে এর পরিমাণ অনেক কম।

লেজের মতো দেখতে অংশটির আসল নাম ‘কোমা’, যা কিনা পানি ও কার্বনডাই অক্সাইডের বাষ্প নিয়ে তৈরি।

হ্যালির ধূমকেতুর কোমা লম্বায় ১০০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, অথচ এর নিউক্লিয়াস আকারে অনেক ছোট, যেটি লম্বায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার, প্রস্থে ৮ কিলোমিটার এবং ৮ কিলোমিটার পুরু।

শুমেকার- লেভি ৯ ধূমকেতু:

১৯৯৪ সালের জুলাই মাসে এ ধূমকেতু বৃহস্পতি গ্রহের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায়।

সবচেয়ে বড় খণ্ডটির ব্যাস ছিল ২ কিলোমিটার লম্বা, এবং এটি বৃহস্পতিকে ৬০ কিলোমিটার/সেকেন্ড বেগে আঘাত করে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইউজিন এম, ক্যারোলিন শুমেকার এবং ডেভিড লেভি ১৯৯৩ সালের মার্চে এই ধূমকেতুটিকে চিহ্নিত করেন।

 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি