প্রভাষক
২১ মার্চ, ২০২১ ০৮:৫২ পূর্বাহ্ণ
মহানবী সা. প্রাথমিক জীবন
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: একাদশ
বিষয়: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্র
অধ্যায়: তৃতীয় অধ্যায়
মুহাম্মাদ
হযরত মুহাম্মাদ | |
---|---|
আরবি ক্যালিগ্রাফিতে লিখিত মুহাম্মাদের নাম | |
জন্ম | মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ ২৯ আগস্ট ৫৭০ [২] |
মৃত্যু | ৮ জুন ৬৩২ (বয়স ৬২) |
মৃত্যুর কারণ | অসুস্থতা (প্রবল জ্বর) |
সমাধি | মসজিদে নববীর সবুজ গম্বুজের নিচের সমাধিক্ষেত্র, স্থান :মদিনা, সৌদি আরব স্থানাঙ্ক: ২৪°২৮′০৩.২২″ উত্তর ০৩৯°৩৬′৪১.১৮″ পূর্ব |
অন্যান্য নাম | আহমাদ, আবুল কাসিম, রাসূল, নবী |
পরিচিতির কারণ | ইসলামিক নবী |
দাম্পত্য সঙ্গী | খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (৫৯৫-৬১৯) সাওদা বিনতে জামআ (৬১৯-৬৩২) আয়িশা (৬১৯-৬৩২) হাফসা বিনতে উমর (৬২৪-৬৩২) জয়নব বিনতে খুযায়মা (৬২৫-৬২৭) উম্মে সালামা হিন্দ বিনতু আবি উমাইয়া (৬২৯-৬৩২) জয়নব বিনতে জাহশ (৬২৭-৬৩২) জুওয়াইরিয়া বিনতে আল-হারিস (৬২৮-৬৩২) রামালাহ বিনতে আবি সুফিয়ান (৬২৮-৬৩২) রায়হানা বিনতে জায়েদ (৬২৯-৬৩১) সাফিয়া বিনতে হুওয়াই (৬২৯-৬৩২) মায়মুনা বিনতে আল-হারিস (৬৩০-৬৩২) মারিয়া আল-কিবতিয়া (৬৩০-৬৩২) |
সন্তান | পুত্রগণ : কাসিম, আবদুল্লাহ, ইবরাহিম কন্যাগণ : জয়নব, রুকাইয়াহ, উম্মে কুলসুম, ফাতিমা |
পিতা-মাতা | পিতা : আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব মাতা : আমিনা |
আত্মীয় | আলী, উমর, আবু বকর, আবু সুফিয়ান |
স্বাক্ষর | |
[৩] |
ইসলাম |
---|
এর ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ: |
মুহাম্মাদ |
---|
বিষয়ের ধারাবাহিকের একটি অংশ |
মুহাম্মাদ[n ১][৪] (২৯ আগস্ট ৫৭০[২] - ৮ জুন ৬৩২;[৫] আরবি উচ্চারণ শুনতে ক্লিক করুন محمد মোহাম্মদ এবং মুহম্মদ নামেও পরিচিত; তুর্কি : মুহাম্মেদ), পূর্ণ নাম : মুহাম্মাদ ইবনে ʿআবদুল্লাহ ইবনে ʿআবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম (ابو القاسم محمد ابن عبد الله ابن عبد المطلب ابن هاشم) হলেন ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামী বিশ্বাস মতে আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী,[৬][n ২] (আরবি: النبي আন-নাবিয়্যু), তথা "বার্তাবাহক" (আরবি : الرسول আর-রাসুল), যার উপর ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক।[৭] অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে,[৮][৯] মুহাম্মাদ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা।[১০][১১][১২][১৩][১৪] তার এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য;[১৫] বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তার জীবনের অন্যতম সফলতা।[১৬][১৭]
আনুমানিক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে (হস্তিবর্ষ) মক্কা নগরীতে জন্ম নেওয়া মুহাম্মাদ মাতৃগর্ভে থাকাকালীন পিতা হারা হন শিশু বয়সে মাতাকে হারিয়ে এতিম হন এবং প্রথমে তার পিতামহ আবদুল মুত্তালিব ও পরে পিতৃব্য আবু তালিবের নিকট লালিত পালিত হন। হেরা পর্বতের গুহায় ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুওয়াত লাভ করেন। জিবরাঈল ফেরেশতা এই পর্বতের গুহায় আল্লাহর তরফ থেকে তার নিকট ওহী নিয়ে আসেন।[১৮] তিন বছর পর ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে[১৯] মুহাম্মাদ প্রকাশ্যে ওহী প্রচার করেন,[২০] এবং ঘোষণা দেন "আল্লাহ্ এক" ও তার নিকট নিজেকে সঁপে দেওয়ার মধ্যেই জাগতিক কল্যাণ নিহিত,[২১] এবং ইসলামের অন্যান্য নবীদের মত তিনিও আল্লাহর প্রেরিত দূত।[২২][২৩]
মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মুহাম্মাদের নিকট আসা ওহীসমূহ কুরআনের আয়াত হিসেবে রয়ে যায় এবং মুসলমানরা এই আয়াতসমূহকে "আল্লাহর বাণী" বলে বিবেচনা করেন। এই কুরআনের উপর ইসলাম ধর্মের মূল নিহিত। কুরআনের পাশাপাশি হাদিস ও সিরাত (জীবনী) থেকে প্রাপ্ত মুহাম্মাদের শিক্ষা ও অনুশীলন (সুন্নাহ) ইসলামী আইন (শরিয়াহ) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।