Loading..

প্রকাশনা

০১ মে, ২০২১ ০১:০২ অপরাহ্ণ

ইসলামে শ্রমের মর্যাদা ও শ্রমিকের অধিকার

১মে মহান মে দিবস। ইসলামে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা অপরিসীম। শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আল-কুরআন ও আল-হাদিসে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ইসলাম শ্রমিক এবং শ্রমকে যথার্থ মূল্যায়ন করেছে এবং শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করেছে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন মাজিদে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন- ‘অতপর নামাজ সমাপ্ত হলে জীবিকার্জনের জন্য তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।’ (সূরা আল জুমআহ: ১০) আল্লাহ তা‘য়ালা আরো এরশাদ করেন- ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে শ্রমনির্ভর রূপে সৃষ্টি করেছি।’(সূরা বালাদ: ৪) আল-কুরআনে আরও এরশাদ হয়েছে- ‘সর্বোত্তম শ্রমিক সে, যে দৈহিক দিক দিয়ে শক্ত-সমর্থ্য ও আমানতদার।’ (সূরা কাসাস: ২৬)
পৃথিবীর সর্ব প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী হজরত আদমই (আ.) থেকে শুরু করে বহু নবী-রাসূল এমনকি সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহও (সা.) শ্রমজীবী ছিলেন। নবী-রাসূল এবং সাহাবায়ে কেরামগণ নিজ হাতে কাজ করে জীবিকা উপার্জন করেছেন। প্রথম নবী হজরত আদম (আ.) ছিলেন দুনিয়ার প্রথম চাষি, হজরত শুয়াইব (আ.) ও হজরত হারুন (আ.) এর পেশা ছিল পশু পালন ও দুধ বিক্রি। হজরত মুসা (আ.) ছিলেন একজন রাখাল। ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) এবং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সৎ ব্যবসায়ী। এছাড়াও হজরত লুত ও হজরত শিস (আ.) ছিলেন কৃষক, হজরত ইদরিস (আ.) ছিলেন দর্জি, হজরত নুহ (আ.) ছিলেন কাঠমিস্ত্রি, হজরত ইবরাহিম (আ.), হজরত ইয়াকুব (আ.), হজরত হুদ (আ.) সালেহ (আ.) ছিলেন ব্যবসায়ী। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- আল্লাহ দুনিয়াতে এমন কোন নবী পাঠাননি যিনি ছাগল ও ভেড়া চরাননি। তখন সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, হে রাসূল (সা.) আপনিও? রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, হ্যাঁ! আমিও মজুরীর বিনিময়ে মক্কাবাসীদের ছাগল ও ভেড়া চরাতাম। (সহীহুল বুখারী)

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি