প্রভাষক
০৬ মে, ২০২১ ০৪:৫২ পূর্বাহ্ণ
অমার লেখা কবিতা(৫)চরিত্র সংশোধন-মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম
চরিত্র সংশোধন
মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম
এ যুগের কিছু ছেলে মেয়ে খুবই দুষ্ট হয়,
করিতে পারে না, চরিত্রকে জয়।
রাস্তা-ঘাটে হাটে তারা বেয়াদবের মত,
তাদের দোষের কথা বলিব কত।
বড়দের বলে তারা তুই তাই করে,
তাদের ব্যবহারে চোখের জল ঝরে।
সাধনা না করিলে, হয় না চরিত্র গঠন,
পূর্ব যুগের ছেলে মেয়ে ছিলনা এ যুগের মতন।
পিতা-মাতার সচেতনতার থাকে যদি অভাব,
প্রত্যেক ছেলে মেয়ের খারাপ হবে স্বভাব।
ছেলে মেয়ে রাতে যদি ঘোরাফেরা করে,
আম চুরি, মোবাইল চুরি তাদের মধ্যেই করে।
এ ধরনের চুরা স্বভাব দূর হবে কবে?
সকলে মিলিয়া যদি চেষ্টা করি তবে।
প্রত্যেক পিতা-মাতা হবেন সাবধান,
ছেলে মেয়ের দোষ-ত্রুটি করেন সমাধান।
আরেকটি কথা বলা দরকার,
অল্প বয়সে ছেলে মেয়ে হইও না সর্দার।
যদি তোমার ধর্মীয় জ্ঞানের বিচার শক্তি থাকে,
সামাজিকভাবে সকলে সর্দার বলে ডাকে।
সর্দারি করে যদি খায় ঘোষ,
সবাই বলে এটা মারাত্মক দোষ।
কাহারো ছেলে-মেয়ে খায় যদি গাজা,
পরকালে পাবে তারা জাহান্নামের সাজা।
বড়দের দোয়া যদি থাকে কপালে,
উন্নতি করিবে তোমরা সকলে।
এ যুগের ছেলে-মেয়ে ভবিষ্যতের কর্ণদার,
চরিত্রের কারনে যেন না হয় অন্ধকার।
পিতা-মাতা ছেলে-মেয়েদের করিবেন শাসন,
ঝগড়া লাগিলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দিবেন ভাষণ।
শাসনের পাশাপাশি করিবেন আদর,
খাওয়া-দাওয়ার সময় হলে করিবেন সমাদর।
প্রত্যেক ছেলে-মেয়ে ভাল হবে,
যদি থাকে ভাল পরিবেশে।
সন্ধার পর যদি পড়িতে বসে।
প্রত্যেকেই ভাল কর স্বভাব,
তা না হলে দিতে হবে আখেরাতে জবাব।
প্রত্যেক ছেলে-মেয়ে হবে ভালো,
যদি থাকে ধর্মীয় জ্ঞানের আলো।
জ্ঞানের আলো করিলে ব্যবহার,
চরিত্র গড়িয়া উঠিবে যার যার।
সারা দুনিয়া ধ্বংসের পথে চলেছে এবার,
সৎ পথে ফিরিয়া আনা দায়িত্ব সবার।