Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১০ মে, ২০২১ ০৪:১৯ অপরাহ্ণ

জাপানের ফুজিয়ামা- আগ্নেয় বা সঞ্চয়জাত পর্বত

আগ্নেয় বা সঞ্চয়জাত পর্বতঃ পৃথিবীর অভ্যন্তরের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ বা ম্যাগমা কখনো কখনো ভূত্বকের কোন গভীর ফাটল বা সুরঙ্গ পথ ধরে উপরে উঠে আসে এবং নির্গমন মুখের চারপাশে স্তুপীকৃত হয়ে জমতে জমতে পর্বতের আকার ধারণ করে। এভাবে আগ্নেয় পদার্থ সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্টি হয় বলে একে আগ্নেয় পর্বত বা সঞ্চয়জাত পর্বত বলে।

আগ্নেয়গিরি বা সঞ্চয়জাত পর্বত এর উৎপত্তি :-

পাত-সংস্থান তত্ত্বের মাধ্যমে আগ্নেয় পর্বতের উৎপত্তি সবচেয়ে সহজভাবে ব্যাখ্যা করা আজ সম্ভব হয়েছে। দেখা গেছে, পৃথিবীর আগ্নেয়গিরির অধিকাংশই অবস্থান করছে বিভিন্ন পাত সীমানায়, বিশেষ করে গঠনাত্মক ও ধ্বংসাত্মক পাতসীমানা-বরাবর। মহাসাগরে র পশ্চিমদিকে ইউরেশিয়া ও ভারতীয় পাতের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষে পাতসীমা অঞ্চলে গৌণ জ্বালামুখ | ম্যাগমা বেরিয়ে এসে আগ্নেয় পর্বতের সৃষ্টি করেছে।আবার প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা পাতের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত ধীরে ধীরে গলে গিয়ে পুনরায় ম্যাগমারূপে ভূ-পৃষ্ঠে বেরিয়ে এসে আগ্নেয় পর্বতের সৃষ্টি করেছে। তাই রকি-আন্দিজ পর্বত বরাবর অসংখ্য আগ্নেয়গিরির মুখ্য জ্বালামুখ যেমন প্রশান্ত লাভাপ্রবাহ আগ্নেয় পর্বত মহাদেশীয় পাতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সৃষ্টি হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির বৈশিষ্ট্য বা আগ্নেয় পর্বতের বৈশিষ্ট্য :-

(১) ভূপৃষ্ঠের দুর্বল অংশ বা পাত সীমানা বরাবর আগ্নেয় পর্বত দেখা যায়।
(২) আগ্নেয় পার্বত্য অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ। 
(৩) আগ্নেয় পর্বতে এক বা একাধিক জ্বালামুখ
থাকে। 
(৪) পর্বতের আকৃতি শঙ্কু বা ত্রিভুজের মতাে। 
(৫) আগ্নেয় শিলা, ভস্ম, সিন্ডার প্রভৃতি দিয়ে আগ্নেয় পর্বত গঠিত।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি