Loading..

ম্যাগাজিন

১২ মে, ২০২১ ০৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

কৃষকের বোরো ধান মাড়াই শেষ প্রায়।

ইতোমধ্যে হাওরের শতভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে এবং এই মাসের মধ্যেই দেশের অবশিষ্ট ৩৬ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তিনি।মঙ্গলবার সচিবালয়ে হাওরে শতভাগ বোরো ধান কাটা ও সমসাময়িক অগ্রগতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।কৃষিমন্ত্রী বলেন, “গত বছর এই দিন পর্যন্ত সারা দেশের মাত্র ৩৩ ভাগ ধান কর্তন সম্ভব হয়েছিল৷ ধানকাটা মেশিন দ্রুত মাঠে দেওয়া এবং সরকারি তত্ত্বাবধানে শ্রমিকের সময়মত যাতায়াত সুগম করার ফলে এ বছর দ্রুততার সাথে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে।”হাওরের সাতটি জেলায় এবার ধান কাটার জন্য অন্য এলাকা থেকে ৪৯ হাজার ১০৮ জন শ্রমিক নেওয়া হয়েছিল এবং ইতোমধ্যে সেখানকার শতভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।এ বছর বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৯৬ লাখ টন। গত বছরের তুলানায় কমপক্ষে ১০ লাখ টন উৎপাদন বেশি হবে। এছাড়া গত বছরের তুলনায় ফলনের পরিমাণও বেশি হয়েছে।”গত বছরের মত এবারও মহামারীকালে কৃষক হাওরের ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “হাওরভুক্ত সাতটি জেলায় এ বছর বোরো আবাদ হয়েছে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩৪ হেক্টর জমিতে; যা দেশের মোট আবাদের প্রায় ২০ শতাংশ। আর শুধু হাওরে বোরো আবাদ হয়েছে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে, যা মোট আবাদের প্রায় ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। সারা দেশে এ বছর ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।”গতবারের তুলনায় এ বছর ১ লাখ ২৯ হাজার ৩১৩ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, গত বছর আবাদ হয়েছিল ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে। এ বছর আবাদ হয়েছে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে।হিটশকে ক্ষতি হওয়ায় ও কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এ বছর হিটশকের মত আকস্মিক দুর্যোগে মূলত ছয়টি জেলার (কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ এবং গোপালগঞ্জ) বোরো ফসল আক্রান্ত হয়।”“সরেজমিনে পরিদর্শন, পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে মোট ক্ষতিগ্রস্ত জমি পাওয়া য়ায় ২১ হাজার ২৯২ হেক্টর (যা মোট ফসলের ০.৪৪%)। এতে চালের উৎপাদন ৯৫ হাজার ৯৩৪ মেট্রিক টন কম হতে পারে।”প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১ লাখ ২ হাজার ১০৫ জন কৃষককে জনপ্রতি আড়াই হাজার টাকা হারে নগদ সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে৷ এতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।উৎপাদনশীলতার জন্য হাইব্রিড জাতের ধানের চাষ বাড়ানোয় এ বছর জোর দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে।এছাড়া চলতি আউশ মৌসুমে উৎপাদন বৃদ্ধিতে উদ্যাগ গ্রহণ করা হয়েছে। ১৩ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ থেকে ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি।এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি